মহাভারতের এই পর্বে, পাণ্ডবদের বিরুদ্ধে কৌরবদের কুটিল ষড়যন্ত্রগুলো জোরালো হতে শুরু করে। দূর্যোধন কর্ণের মধ্যে এক সুদক্ষ নতুন মিত্র খুঁজে পেলেন এবং পাণ্ডব ভাইদের প্রলুব্ধ করে একটা ফাঁদে ফেলা হল।

মহাভারতের এই পর্বে সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন যে কীভাবে দুর্যোধনের ক্রোধ শকুনির কূটবুদ্ধির দ্বারা চালিত হয়ে ভীমকে হত্যার এক ক্রূর, চক্রান্তে পরিণত হয়। অবশ্য তাঁর অতি উৎসাহের কারণে দুর্যোধনের বিষাক্ত পরিকল্পনা খুব তাড়াতাড়িই ভেস্তে যায়।

মহাভারত ধারাবাহিকের এই পর্বে সদগুরু ধর্ম ও অধর্মের নানা আঙ্গিক তুলে ধরছেন যেগুলো গোটা মহাভারতের এক মৌলিক যোগসূত্র। তিনি ব্যাখ্যা করে বলছেন যে নিছক ভালো-মন্দ বিচারের অনেক উর্ধ্বে - ধর্ম হল জীবনকে পরিশীলিতভাবে দেখার এক উপায়, যার ফলে একে অপরের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত না হয়ে সকল মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে।

মহাভারতের এই পর্বে সদগুরু পুরুর ভাই যদুর বংশধরদের কথা বলছেন। এই যদুই যদুবংশের স্থাপনা করেন- যে বংশে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিলো।

মহাভারতের এই পর্বে আমরা দেখব অর্জুনের সর্বশ্রেষ্ঠ ধনুর্বিদ হয়ে ওঠার আপোষহীন আকাঙ্ক্ষার এক ঝলক, যা তাঁর মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার জন্ম দেয় আর এই নিরাপত্তাহীনতাই তাঁকে এক নিষ্ঠুর ও অমানবিক সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে দেয়।

মহাভারতের এই পর্বে, পাণ্ডব ভাইয়েরা তাঁদের পিতার মৃত্যুর পর হস্তিনাপুরে চলে আসেন, যা দুর্যোধনের অসন্তোষের কারণ। এর সাথে আমরা শকুনির প্রতিশোধ স্পৃহার মূলে কী তা জানব - মন্ত্রঃপূত পাশা-জোড়ার সাহায্যে এই প্রতিশোধ স্পৃহা পরে‌ চরিতার্থ হয়।

মহাভারতের এই পর্বে আমরা দেখবো ধৃতরাষ্ট্রের শতপুত্রের জন্মকে ঘিরে নানা অমঙ্গল সূচক ঘটনা। মুনি-ঋষিদের জ্ঞান ও তাঁদের দেওয়া নানা অশুভ পূর্বাভাস উপেক্ষা করে গান্ধারী ও তাঁর স্বামী তাঁদের প্রথম সন্তান সর্প-চোখী দুর্যোধনকে ত্যাগ করতে অস্বীকার করেন।

মহাভারতের এই পর্বে, নিঃসঙ্গ অম্বা ক্রমশ মরিয়া হয়ে এমন একজনকে খুঁজতে থাকেন যিনি ভীষ্মকে হত্যা করবেন আর অম্বার প্রতিশোধ পূর্ণ হবে। তিনি ঘটনার এমন একটি ধারাবাহিকতা শুরু করলেন যার সমাপ্তি বহু বছর পরে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে গিয়ে ঘটবে।

মহাভারতের এই পর্বে, আমরা কর্ণকে তাঁর অসাধারণভাবে জন্মগ্রহণ করার সময় থেকে অনুসরণ করব এবং দেখব কীভাবে তাঁর গৌরবময় আকাঙ্ক্ষা তাঁকে অতুলনীয় দক্ষতার অধিকারী করে তুললেও একই সাথে তাঁকে জোড়া অভিশাপের ফাঁদেও ফেলে দিয়েছিল।

মহাভারতের এই পর্বে, সদগুরু ধর্ম এবং কর্মের মাঝের সম্পর্ককে বিশ্লেষণ করছেন। তিনি বলছেন, একমাত্র ধর্ম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই আপনি আপনার কর্ম করতে পারেন এবং আপনার ঈপ্শিত লক্ষ্যের দিকে নিজের জীবন রচনা করতে পারেন।

এই পর্বে - এক অভিশাপের ফলে দুই যুবতী স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও পান্ডুকে সন্তানহীনতায় ভুগতে হয়। পরে অবশ্য কুন্তী বরদান হিসেবে পাওয়া এক মন্ত্রের সাহায্যে দেবতাদের আহ্বান করে সন্তান ধারনের ব্যবস্থা‌ করেন। আমরা পঞ্চপান্ডবের প্রত্যেকের উৎসকথা জানবো।

শান্তনুর সত্যবতীকে বিয়ে করার পর থেকে সদগুরু গল্পটি বলা শুরু করছেন এবং কুরুবংশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টায় ভীষ্ম কীভাবে এক দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন - সেই দিকে দৃষ্টিপাত করছেন।