Mahabharat All Episodes

প্রশ্নকর্তা: সদগুরু, আপনি বলেছেন বার্বারিক দক্ষিণ থেকে এসেছিলেন, আর এই যুদ্ধে দক্ষিনী অতীন্দ্রিয়বাদের একটা বড়সড় প্রভাব ছিল। এটা একটু বুঝিয়ে বলবেন?

সদগুরু: বার্বারিক তার দক্ষতা দেখিয়েছিল। কিন্তু পান্ডবদের সৌভাগ্য যে যুদ্ধে তিনি সেই দক্ষতা ব্যবহার করতে পারেননি। কৃষ্ণ তৎক্ষণাৎ বুঝে গিয়েছিলেন যে এই মানুষটি ধ্বংশ করতে সক্ষম। মাত্র তিনটে তীর সঙ্গে নিয়েই সে এতটা আত্মবিশ্বাসী ছিল, কারন সে সুনিশ্চিত ছিল যে এই তিনটে তীরই সমগ্র বিশ্বকে সামলে নিতে পারবে। আর সে যেকোন দলের হয়ে লড়তে চায়নি - সে পরাজিত দলের হয়ে লড়তে চেয়েছিল। সে যুদ্ধের খেলাটা পছন্দ করত, কারন সে নিশ্চিত ছিল যে সে জিতবে। 

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধটা হয়েছিল উত্তর ভারতের রাজাদের মধ্যে, কিন্তু দক্ষিণের যোদ্ধারাও এই লড়াই দেখতে চেয়েছিলেন।

দক্ষিনী অতিন্দ্রীয়বাদের একটা বড় ভুমিকা ছিল। কারন ঘটোতকচের তান্ত্রিক ক্ষমতার জন্যই কর্ণ শক্তি (সেই শক্তিশালী অস্ত্র যেটা কর্ণ একবারই মাত্র ব্যবহার করতে পারতেন) হারিয়েছিল। যদি তখনও কর্ণের কাছে সেই শক্তি থাকত, নিশ্চিতভাবে অর্জুন মারা পড়ত। কৃষ্ণ তো বলেছিলেন, কর্ণ তাকেও মেরে ফেলতে সক্ষম। কাজেই দক্ষিনের ঐন্দ্রজালিক শক্তি ছিল এই যুদ্ধের ভবিষ্যত নির্ধারক। ঘটোতকচের মা হিড়িম্বা কেমন করে শক্তি অর্জন করার জন্য এক দেবীর পূজা করেছিলেন এবং নরবলী পর্যন্ত দিয়েছিলেন- যে রীতি তাদের সমাজে ছিল, সে সম্পর্কেও গল্প আছে। তিনি ছিলেন দক্ষিনের।  

এবং যুদ্ধে খাবারের জোগান দিয়েছিলেন রাজা উদুপি। দক্ষিন থেকে অনেক সাহায্য এসেছিল, কিন্তু যুদ্ধটা ছিল মূলতঃ উত্তর ভারতের রাজাদের মধ্যে। তাঁরাই যুদ্ধটা লড়ছিলেন। কিন্তু দক্ষিনের যোদ্ধারাও এই যুদ্ধ থেকে দূরে থাকতে চাননি। তাঁরা দেখতে গিয়েছিলেন, যুদ্ধ যদি নাও করতে হয়, অন্তত যুদ্ধটা কেমন হচ্ছে সেটা দেখার জন্য। এমনকি বার্বারিক তার নিজের মাথা কেটে ফেলার পরেও কৃষ্ণের আশীর্বাদে সম্পূর্ণ যুদ্ধটাই দেখতে পেরেছিল, সেখানে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে যথাযথ ধারনা তার ছিল, এবং সেবিষয়ে মতামতও দিয়েছিল সে।  

দক্ষিনের প্রভাব নীরবে একটি ভূমিকা পালন করে গেছে।

To be continued..

More Mahabharat Stories

Editor’s Note: A version of this article was originally published in the Forest Flower magazine, October 2019. To subscribe online, click here. The Mahabharat series is based on Sadhguru’s talks during the one-time Mahabharat program that took place in February 2012 at the Isha Yoga Center. Through the lives and stories of the varied characters, Sadhguru takes us on a mystical exploration into the wisdom of this immortal saga.