সদগুরুর কাছে জনৈক সাধক শিষ্যের প্রশ্ন ছিল, তন্ত্র কী ? তান্ত্রিক পরম্পরার ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে সদগুরু বিশ্লেষণ করেন তন্ত্রে গুরু শিষ্যের সম্পর্ক উদ্দীপক হলেও, যৌনাচার নয়

প্রশ্ন:সদগুরু, তন্ত্র কী ? ভারতীয় তন্ত্রে গুরু শিষ্যের যে নিবিড় ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পরম্পরা রয়েছে, সেখানে যৌনাচারের কথাও শোনা যায়। বিশেষত কৃষ্ণের সঙ্গে গোপীদের যে কামার্ত প্রণয়ের কথা প্রচলিত, সেখানে যৌন সম্পর্ক থাকলেও থাকতে পারে। সুতরাং, তন্ত্র কী এবং কীভাবে এটি সাধারণ যৌনাচারের সঙ্গে সম্পর্কিত ?

সদগুরু: দুর্ভাগ্য হল, তন্ত্রকে পশ্চিমী দেশগুলিতে এমনভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে যে মনে হয়, তন্ত্র মানেই বাধা বন্ধনহীন অবাধ যৌনতা। তন্ত্র সম্পর্কে এহেন অপব্যাখ্যার মূল কারণ সেই বইগুলি, যেগুলি শুধুমাত্র লাভের আশায় বিক্রীর উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। যারা এই সব বই লিখেছেন তাঁরা আর যাই হোক, কোনও তান্ত্রিক নন।

তন্ত্র শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল প্রযুক্তি বা প্রযুক্তিগত কৌশল। তন্ত্র হল অন্তর্জগতের প্রযুক্তি। তন্ত্র হল আত্মগত বা আত্ম- অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রক্রিয়া, তন্ত্র কোনও ভাবেই বাহ্যিক বস্তু বা বিষয় ভিত্তিক নয়। কিন্তু বর্তমান সামাজিক ধ্যানধারণা অনুযায়ী, তন্ত্র হল সাধারণ প্রথা বহির্ভূত কিছু কলাকৌশল, যা সামাজিক প্রেক্ষিতে কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে, যোগ সাধনার মতোই তন্ত্রেও নির্দিষ্ট কিছু বিষয় সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতেই প্রযুক্ত হয়। তন্ত্র হল সামগ্রিক যোগ সাধনার অঙ্গ। এর নাম তন্ত্রযোগ।

জনমানসে প্রচলিত, “যৌন বাসনা পরিতৃপ্ত করতে আমি তন্ত্রের পথ অনুসরণ করবো” জাতীয় ভাবনাটি আপাদমস্তক অর্থহীন
মানুষের জৈব অস্তিত্বটি তিনটি উপাদানের সংমিশ্রণ, সেগুলি হল – প্রথমত, স্থূল শরীর (food body), যা কিনা খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে গঠিত হয়, দ্বিতীয়ত, সামগ্রিক মনোজগত (mental body) যা স্মৃতি হয়ে সঞ্চিত তথ্যের মাধ্যমে তৈরি হওয়া বিশেষ ধরনের অগণিত প্রবণতার সমাহার, তৃতীয়ত, প্রাণ শরীর (energy body) যা স্থূল শরীর ও মনোজগতের মৌলিক ভিত্তি বা আধার। এই তিনটি উপাদান ব্যতীত যা কিছু আছে তা সবই ভৌত বা ইন্দ্রিয় চেতনার অতীত।

স্থূল শরীর ও মনের অদম্য ও পৌনঃপুনিক প্রকৃতি জীবনকে বৃহত্তর সম্ভাবনায় উত্তীর্ণ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা বা বাধা স্বরূপ। তন্ত্র হল, স্থূল শরীর ও মনের অদ্যম প্রবৃত্তি জাত যাবতীয় সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে যাওয়ার কৌশল। তন্ত্র হল শরীরকে এমনভাবে ব্যবহার করতে শেখা, যাতে সেটি ব্যক্তি কেন্দ্রিকতার সীমানা পেরিয়ে মানব সত্তাকে জীবনের শ্রেষ্ঠতম সম্ভাবনায় উত্তীর্ণ করা যায়।

তন্ত্র যোগ – শীর্ষবিন্দুতে আরোহণ

তন্ত্র যোগ অধিকাংশ মানুষের ধারণার অনুসারী, লাগামহীন যৌনতার প্রকাশ নয়। যৌনতা হল জৈব প্রজাতির বংশ বিস্তার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে স্থূল শরীরের মধ্যে থাকা মৌলিক প্রবৃত্তি। এটি প্রতিটি প্রাণীর মৌলিক চাহিদা। একই সঙ্গে প্রতিটি মানুষের ওই জৈব প্রবৃত্তির সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সম্যক ভাবে অবহিত হওয়া প্রয়োজন। ওই মূলগত জৈব চাহিদার সীমাবদ্ধ ফাঁদ থেকে নিজেকে উদ্ধার করে জীবনের ভিন্ন মাত্রাকে স্পর্শ করার আকাঙ্ক্ষা তীব্র হলেই যোগ ও তন্ত্র প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে।

জনমানসে প্রচলিত, “যৌন বাসনা পরিতৃপ্ত করতে আমি তন্ত্রের পথ অনুসরণ করবো” জাতীয় ভাবনাটি আপাদমস্তক অর্থহীন। নিজেকে প্রসারিত করার মাধ্যম হিসেবে তন্ত্র যে শুধুমাত্র যৌনতাকেই স্বীকৃতি দেয়, তা কিন্তু নয়। নিজেকে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জীবনের প্রতিটি দিকই তন্ত্রে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, এরকম অনেকেই আছেন যারা ভুল উদ্দেশ্য নিয়ে তন্ত্রের প্রতি আকর্ষিত হয়ে ওঠেন। এমন মানুষরা শুধুমাত্র তাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য আধ্যাত্মিক অনুমোদন খুঁজে বেরায় । আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে এমন অর্থহীন প্রলাপের কোনও প্রয়োজন আছে কি ? জৈবিক প্রবৃত্তিকে জৈবিক প্রবৃত্তি হিসেবে দেখাই ভাল, একে অন্য নামের মোড়ক দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

যৌনতার চাহিদা পূরণের জন্য সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে বা তার বাইরে নির্দিষ্ট সম্পর্ক স্থাপন করা যেতেই পারে। কিন্তু অদম্য যৌন বাসনা চরিতার্থ করার জন্য আধ্যাত্মিকতার আশ্রয় নেওয়া দায়িত্বজ্ঞানহীন ও নিন্দনীয় আচরণ। এর ফলে বহুমাত্রিক ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়। তন্ত্র ক্রিয়া শুধু যে ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উত্তরণের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, এই ক্রিয়ার মাধ্যমে যে শক্তির আবহ তৈরি হয়, তা বহু মানুষের কল্যাণ সাধনেও সক্ষম।

সাধারণ যৌনাচারের মাধ্যমে যেখানে নিম্নগামী শক্তির প্রকাশ হয়, তন্ত্রের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চারণ ব্যবস্থার সর্বোচ্চ মাত্রাকে সক্রিয় করা হয় ও সেই উচ্চতম স্তর থেকেই শক্তির বিকিরণ হয়
তন্ত্র যোগের সহজ নীতি হল – যে সমস্ত উপকরণ জীবনকে নিম্নগামী করে, সেগুলিকে প্রয়োগ করেই জীবনের উত্তরণ ঘটানো সম্ভব। সাধারণ ভাবে বিবেচনাহীন খাওয়া, মদ্যপান ও যৌনতা – এই তিনটিই মানবজীবনকে নীচে নামিয়ে দেয়। তন্ত্র যোগের ক্রিয়ায় ওই তিনটি উপকরণই জীবনের উত্তরণ ঘটানোর লক্ষ্যে ব্যবহৃত হয়। সাধারণ যৌনাচারের মাধ্যমে যেখানে নিম্নগামী শক্তির প্রকাশ হয়, তন্ত্রের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চারণ ব্যবস্থার সর্বোচ্চ মাত্রাকে সক্রিয় করা হয় ও সেই উচ্চতম স্তর থেকেই শক্তির বিকিরণ হয়। মানব দেহের ১১৪টি চক্রের মধ্যে তিনটি শীর্ষ চক্রকেই শক্তি সঞ্চারণ প্রক্রিয়ার উচ্চতম স্তর বলে ধরা হয়। ওই উচ্চতম স্তরের সান্নিধ্যে আসার জন্য যৌনাকাঙ্ক্ষা, আবেগ, বাহ্য বুদ্ধিবৃত্তি, জীবনধারণের প্রবৃত্তিকে শক্তির উত্তরণ ঘটানোর লক্ষ্যে ব্যবহার করা প্রয়োজন।এই প্রবৃত্তিগুলিকে কেন্দ্র করে যাবতীয় কাজকর্মের জন্য ব্যবহৃত শক্তিকে ওই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে স্থাপন করাটাই হল মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু এক্ষেত্রে শারীরিক যৌন আচরণের মধ্যে পড়ে গেলে শক্তির উত্তরণ ও তার মূল লক্ষ্যটিই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

সে কারণেই তন্ত্রের পথে চূড়ান্ত শৃঙ্খলার প্রয়োজন। শৃঙ্খলার অভাব থাকলে এ পথে যে কোনও ব্যক্তিই নেশাগ্রস্ত মানুষে পরিণত হতে পারেন। শৃঙ্খলার অভাবেই প্রতি একশো জন মানুষের মধ্যে নিরানব্বই জন মানুষই শেষ পর্যন্ত নিতান্তই মাদকাসক্ত হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

বাম ও দক্ষিণাচারী তন্ত্র যোগ

ওই ধরনের অশোধিত আচার অনুষ্ঠান সর্বস্ব তন্ত্র ক্রিয়া বামাচারী তন্ত্র হিসেবেই পরিচিত। এর বিপরীতে পরিশীলিত ক্রিয়ার মাধ্যমে যে তন্ত্রের অনুশীলন করা হয় সেটি দক্ষিণাচারী তন্ত্র হিসেবে পরিচিত। এই দু’ধরনের তন্ত্র পরস্পরের বিপরীতে অবস্থান করে। দক্ষিণাচারী তন্ত্রের পথটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়, এপথে বাহ্যিক আচার অনুষ্ঠান সর্বস্বতা নেই। এখন প্রশ্ন হল, দক্ষিণাচারী তন্ত্রকে কি আদৌ তন্ত্র বলা যায় ? এক অর্থে এটি অবশ্যই তন্ত্রের পথ। কিন্তু যোগ শব্দটির মধ্যে বাম ও ডান উভয় প্রকার পথই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। যখন আমরা বলি যোগ, কোনও সম্ভাবনাকেই আমরা বাইরে রাখি না – সবকিছুই যোগের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। বাস্তবে দেখা যায়, মানসিক বিকার গ্রস্ত কিছু মানুষ বামাচারী পথের স্থূল দেহ সর্বস্ব নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতিকে অতিরঞ্জিত লেখার মাধ্যমে সামগ্রিক তন্ত্র বলে ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু কোনও মাপকাঠিতেই ওই পদ্ধতিগুলি তন্ত্র নয়।

তন্ত্র রহস্যে মোড়া কোনও আজগুবি আচরণ নয়। তন্ত্র এক বিশেষ ধরনের নৈপুণ্য, যা না থাকলে জীবনের সম্ভাবনাগুলি বিকশিত হতে পারে না
ভিতরের শক্তিকে ব্যবহারের মাধ্যমে কোনও কিছুকে বাস্তবায়িত করার সূক্ষ্ম কৌশলের নাম তন্ত্র। আপনি যদি মনকে সব কিছুকে ভাগ করার উপযোগী ক্ষুরধার করে তুলতে সমর্থ হন, সেটিও এক প্রকারের তন্ত্র। অন্তর্নিহিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে হৃদয়কে সর্বদা ভালবাসায় পরিপূর্ণ করে তুলতে বা সকলকে ভালবাসায় ভরিয়ে রাখতে সক্ষম হলে সেটিও এক ধরনের তন্ত্র। স্থুল দেহটিকে অবিশ্বাস্য কাজের উপযোগী অতিশয় শক্তিশালী করে তুলতে সক্ষম হলে সেটিও এক ধরনের তন্ত্র। অথবা শরীর, মন ও আবেগ ছাড়াই শুধুমাত্র ভিতরের শক্তিকে প্রয়োগের মাধ্যমে ঘটনাকে বাস্তব রূপ দিতে সক্ষম হলে, সেটিও এক ধরনের তন্ত্র।

সুতরাং, তন্ত্র রহস্যে মোড়া কোনও আজগুবি আচরণ নয়। তন্ত্র এক বিশেষ ধরনের নৈপুণ্য, যা না থাকলে জীবনের সম্ভাবনাগুলি বিকশিত হতে পারে না। শুধু প্রশ্ন হল, আপনার বেছে নেওয়া তন্ত্রটি কতটা পরিশীলিত ? আপনার ভিতরের শক্তিকে সচল করার জন্য দশ হাজার আচার বিচার করবেন না কি, শুধুমাত্র চোখ বুজে বসে ঘটনাটি ঘটাতে সক্ষম হবেন, সেটিই মৌলিক তফাত গড়ে দেবে। নিম্ন বা উচ্চ মানের যে কৌশলই আপনি রপ্ত করুন না কেন, তন্ত্র ছাড়া আধ্যাত্মিকতা বিকশিত হতে পারে না।

তন্ত্র যোগের অর্থ তর্জন গর্জন করা নয়

আমি আপনার সূক্ষ্ম নৈপুণ্য বা কৃৎ কৌশলকে উন্নততর করার কথা বোঝাতে চাইছি। নিজের ভিতর চরম উদ্দীপনা অনুভব করার জন্য তর্জন গর্জন করার কোনও প্রয়োজন নেই। সঠিক পথে গেলে, চোখ বুজে ধ্যানস্থ হয়ে বসেও আপনি শরীরের প্রতিটি কোষে সেই চরম উদ্দীপনা অনুভব করতে পারেন
গুরু শিষ্য পরম্পরায় গুরুর কাজ হল শিষ্যকে চৈতন্যের সেই স্তরে উঠে যেতে সহায়তা করা, যৌনতার অদম্য ফাঁদে শিষ্যকে আটকে রাখা নয়। গুরু শিষ্যের পবিত্র সম্পর্কটি উদ্দীপনায় পরিপূর্ণ কিন্তু যৌনাচারের সমার্থক নয়। আমি আপনার সূক্ষ্ম নৈপুণ্য বা কৃৎ কৌশলকে উন্নততর করার কথা বোঝাতে চাইছি। নিজের ভিতর চরম উদ্দীপনা অনুভব করার জন্য তর্জন গর্জন করার কোনও প্রয়োজন নেই। সঠিক পথে গেলে, চোখ বুজে ধ্যানস্থ হয়ে বসেও আপনি শরীরের প্রতিটি কোষে সেই চরম উদ্দীপনা অনুভব করতে পারেন। এই অন্তর্নিহিত উদ্দীপনাকে অনুভব করতে ব্যর্থ যারা, তারাই কামের উত্তেজনার মাধ্যমে ওই তুরীয় অবস্থাটি অনুভব করতে চায়।

কৃষ্ণের সঙ্গে গোপীদের সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে তার মধ্যে আশ্রয় খোঁজার ব্যর্থ প্রয়াস করে সকলেই। শুধুমাত্র পৌরাণিক গাথা অনুযায়ী, একই সঙ্গে ১৬০০০ নারীকে উদ্দীপক তৃপ্তির স্বাদ দিয়েছিলেন কৃষ্ণ, যা কোনও ভাবেই যৌন সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে সম্ভব নয়। গুরু ও শিষ্যের মধ্যে গভীর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপিত হতেই পারে। সাধারণ ভাবে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের কথায় দুটি শরীরের প্রসঙ্গ এসে যায়। কিন্তু আধ্যাত্মিক পথে থাকা মানুষের কাছে শরীরের অন্তরঙ্গতার বিশেষ কোনও ভূমিকা নেই। পদার্থ স্বরূপ স্থূল শরীরটি বাহ্যিক জগৎ থেকে উপাদান সঞ্চয়ের মাধ্যমে তৈরি হয়। সেই কারণেই, তন্ত্র ও যোগের পথে স্থূল দেহটিকে কখনওই আপনার অন্তরঙ্গ সত্তা বলে মনে হয় না। গুরু ও শিষ্যের অন্তর্নিহিত শক্তির মিলন হলে, শিষ্যের ভিতরের শক্তি গুরুর শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হলেই উদ্দীপক তৃপ্তির অনুভূতি তৈরি হয়, যা কিনা তীব্র উদ্দীপক অনুভূতির দিকে নিয়ে গেলেও, কোনও ভাবেই যৌন মিলন নয়।

ধ্যান বা সাধারণ কিছু আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া অভ্যাসের জন্য বাস্তবিক, গুরুর কোনও প্রয়োজন হয় না। শিষ্যকে সেই নামহীন তুরীয় আনন্দের অনুভূতিতে ভরিয়ে রাখার মধ্যে দিয়েই গুরুর মাহাত্ম্য প্রকাশিত হয়। সুতরাং, তন্ত্র হল মুক্তি পথের দিশারী, দাসত্বে আটকে রাখার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তি নয়।।

সম্পাদকের কথা: তন্ত্র, চক্র ও কুন্ডলিনী বিষয়ে আরও সুগভীর, মননশীল বিশ্লেষণের জন্য সদগুরুর “Mystic’s Musings” বইটির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। আলোচ্য বইটির সামান্য কিছু নমুনা PDF হিসেবে দেখা যাবে অথবা ebook টি ক্রয় করা যেতে পারে।free sample or purchase the ebook.