সদগুরু সমস্ত সম্পর্কের মৌলিক ভিত্তি কি এবং কিভাবে তাদের সাথে জড়িত প্রত্যাশাগুলির মোকাবিলা করবেন তা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করছেন।

বহু মানুষের মনে, বিশেষত পশ্চিমী মানুষের মনে ভারতীয় তন্ত্র মানেই অবাধ যৌনাচারের ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত। তন্ত্র কী এবং কী নয়, বর্তমান নিবন্ধে সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন সদগুরু।

কামজ ভাবনার মধ্যে ডুবে থাকা কতটা স্বাভাবিক, কেন অধিকাংশ মানুষ শুধু যৌনতার মধ্যেই সুখের খোঁজ করেন, তার বিশ্লেষণ করলেন সদগুরু -

মানুষের যৌনাচারণ পাপাচার না পবিত্র, এই প্রশ্নের উত্তরে সদগুরু বলেন, যৌনতার মধ্যে ঠিক বা ভুল বলে কিছু নেই, এটি ভৌত অস্তিত্বের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে, কিন্তু মানুষের জীবনে এর ভূমিকা অত্যন্ত সীমিত। যৌনতাকে স্বীকৃতি দিতেই হবে, কিন্তু এক্ষেত্রে দায়িত্ববোধের পরিচয় দেওয়া জরুরী, স্পষ্ট অভিমত সদগুরুর -

যে সম্পর্কগুলি মধুর হওয়ার কথা, কেন সেগুলি তার অন্তর্নিহিত মধুরতা হারিয়ে তিক্ত হয়ে ওঠে আমাদের অজান্তে ? মৌনি রায়ের প্রশ্নের উত্তরে, মানবিক সম্পর্কের অন্তর্লীন রসায়নটি কেমন হওয়া উচিত, বিশ্লেষণ করেছেন সদগুরু

সদগুরু প্রেম এবং কামলালসার মধ্যে পার্থক্য করছেন এবং ব্যাখ্যা করছেন যে কিভাবে আমরা শারীরিকভাবে যত নিষ্ক্রিয় হয়ে উঠি, আমাদের শক্তি ঠিকমতো ব্যয় না হয়ে তা স্নায়ুরোগ হিসাবে প্রকাশ পায়।

সত্যের সাথে যুবসমাজের এক আলোচনাচক্রে, জনৈক ছাত্র সদগুরুকে প্রশ্ন করেন, কী কারণে একজন মানুষ ধর্ষণের মতো অমানবিক কাজ করার পথে চালিত হয় ? সদগুরুর ভাষায়, প্রজন্মগত এবং সাংস্কৃতিক বদল আজ যৌবনের চিন্তাকে লুঠ করেছে এবং এটি মূলত শারীরিক এবং মানসিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমেই আজ বেঁচে আছে | এ প্রসঙ্গে সদগুরু আরও বলেন, শুধুমাত্র শাস্তি দেওয়াকেই সমাধান না ভেবে, সময় এসেছে প্রকাশ্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার।