প্রশ্নকর্তা: পুরাণ-কথা অনুসারে কলিযুগে বিষ্ণুর শেষ অবতার কল্কি অবতীর্ণ হবেন। আপনি কি এই ব্যাপারে সবিস্তারে আলোচনা করবেন?

সদগুরু: কলি যুগের অর্থ "অন্ধকার যুগ"। গ্রহের একটি রাশিচক্র সম্পূর্ণ করতে সময় লাগে ২৫,৯২০ বছর। আপনি যদি এই চক্রকে দুই ভাগে ভাগ করেন, তাহলে সেখানে দু'বার করে চারটি যুগ আসছে বা মোট আটটি যুগ রয়েছে। কেবলমাত্র কলি যুগদুটি ও সত্য যুগদুটি একসাথে থাকে - সেখানে দুটো সত্য যুগ এবং দুটো কলি যুগ পরপর রয়েছে। কিন্তু অন্য দুটো যুগের প্রতিটি আবর্তন -দ্বাপর ও ত্রেতা যুগ- কলি যুগ ও সত্য যুগ দ্বারা পৃথক করা থাকে।

কলি যুগ - অন্ধকার যুগ

কলিযুগের বৈশিষ্ট্য হ'ল এই যুগে মানুষের বুদ্ধি তার সর্বনিম্ন স্তরে থাকে। এর পরবর্তী যুগ থেকে মানুষের বুদ্ধিমত্তা বিকশিত হতে শুরু করে। তারা এটাও বলেন যে মানবতন্ত্রের বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বকীয় শক্তিগুলি বোঝার এবং ব্যবহার করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

যেভাবে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে আবর্তিত হয় এবং চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে, তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে মানব দেহ তার পূর্ন সম্ভাবনায় পৌঁছে গেছে।

আপনার মস্তিষ্কের নিউরনগুলো কিভাবে কাজ করে- মূলত তার উপরেই আপনার বুদ্ধিমত্তা নির্ভর করে। আপনি যদি মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করছে তার একটি কৃত্রিম ছবি দেখেন, আপনি দেখতে পাবেন প্রকৃতপক্ষে এটি বৈদ্যুতিক শক্তির দ্বারা উদ্দীপিত হচ্ছে। যে ভৌতিক নিয়মগুলি সৌরজগতকে চালনা করে, সেগুলি পর্যালোচনা করে পদার্থবিদরা সম্প্রতি জানতে পেরেছেন যে মানুষের মস্তিষ্কের আর অধিক বিকাশের কোনও স্থান নেই। যোগবিজ্ঞান দীর্ঘকাল ধরে একথা বলে আসছে।

এটা এরকম হওয়ার কারণ- যদি আপনি নিউরনের আকার বৃদ্ধি করেন তবে মস্তিষ্ক আরও সক্ষম হয়ে উঠবে, কিন্তু এটি অত্যাধিক বেশি শক্তি গ্রহণ করবে। আপনার শক্তির কুড়ি শতাংশ মস্তিষ্কে ব্যয় হয়, যার অর্থ এটি শরীরের সবচেয়ে বেশি শক্তি ব্যয়কারী অঙ্গ। ধরুন আপনার মস্তিষ্ক বড় হয়ে গেল- আপনি যতটা শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম, আপনার তার চেয়ে বেশি শক্তির প্রয়োজন পড়বে। অন্যদিকে আপনি যদি নিউরনের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন, তাহলে আপনি আরও ভাল করতে পারবেন কিন্তু আপনি সংকেতের স্পষ্টতা হারাবেন। কিছু কিছু বাচ্চাদের সাথে এটা ঘটে থাকে - তাদের মস্তিষ্কের নিউরন সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। তারা বুদ্ধিমান কিন্তু এলোমেলো। তারা সহজ ভাবে ভাবতে পারে না। এর থেকে কিছু কাজ হয় না, কারণ সেখানে কোন স্পষ্টতা নেই।

মস্তিষ্কের আকার বৃদ্ধি করেও কিছু কাজ হবে না, আবার নিউরোনের সংখ্যা বৃদ্ধি করেও কিছু লাভ হবে না। তারা বলেন যে ভৌতিক নিয়ম অনুসারে, মানুষের মস্তিষ্কের আর বিবর্তন হওয়া সম্ভব নয় - তবে আমরা এটিকে আরও ভালভাবে ব্যবহার করতে শিখতে পারি। এই মুহুর্তে, মানুষ এটিকে খুবই সাধারণ ভাবে ব্যবহার করছে। আপনি যদি এটিকে আরও পরিশীলিত ভাবে ব্যবহার করেন, তবে আপনি আপনার মস্তিষ্কের শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারেন।

যোগ বিজ্ঞান তো বহু আগেই বলেছে যে মানব- বুদ্ধি ও মানব- শরীরকে এর বেশী বিকশিত করা যাবে না, কারণ ভৌতিক নিয়মগুলো তাদের চরম সীমায় পৌঁছে গেছে। পৃথিবী যেভাবে সূর্যের চারিদিকে আবর্তিত হয় এবং চাঁদ যেভাবে পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে , সেই অনুযায়ী মানবদেহ পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছে গিয়েছে। এটি আর আগে যেতে পারবে না। কিন্তু একই সাথে, যোগ বিজ্ঞান আরও বলে যে কিছু বিশেষ প্রক্রিয়ার সাহায্যে আপনার মস্তিষ্ক ব্যবহারের ক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে। আপনি চাইলে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে, কুণ্ডলিনীকে জাগ্রত করে, আপনার শক্তিকে পূর্ণ মাত্রায় কার্যকরী করে- আপনার চারপাশের হাজার মস্তিষ্ককে শক্তি প্রদান করতে পারেন।

অন্ধকারের সমাপ্তি

তারা বলেন কল্কি অন্ধকার যুগের সমাপ্তি ঘটাতে আসবেন। বাস্তবে, সময়ের প্রকৃতি এমন যে কারো এটি শুরু করার প্রয়োজন নেই, কাউকে এটি শেষ করারও দরকার নেই- এটি এমনিতেই পেরিয়ে যায়। জীবনে আপনার যদি কিছু নাও ঘটে থাকে - তবুও সময় চলে যাবে। এই একটি ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন। ধরুন আপনি যদি কোনও বর লাভ করেন এবং অমর হয়ে যান, তবুও আপনি সময়ের পেরিয়ে যাওয়া আটকাতে পারবেন না। কাজেই, যুগ শুরু বা শেষ করার জন্য কারও প্রয়োজন হয় না। যখন তারা বলেছিল, "কল্কি একটি সাদা ডানাযুক্ত ঘোড়ায় চড়ে পরিবর্তন কালে আলো আসবে এবং অন্ধকারকে ধ্বংস করে দেবে।

সময়ের প্রকৃতি এমনই যে কারো এটি শুরু করার প্রয়েজন নেই, কাউকে এটি শেষ করারও দরকার নেই- এটি এমনিতেই পেরিয়ে যাবে। জীবনে আপনার যদি কিছু নাও ঘটে থাকে - তবুও সময় চলে যাবে।

যদি এই হলঘরটি অন্ধকার হয়, আর আমি একটি আলো জ্বালিয়ে দিই- এটি অন্ধকারকে ধ্বংস করে দেয়। মূর্খ পণ্ডিত বা শোষণকারীরা কালো-সাদা ঘটনা হিসাবে রূপক অভিব্যক্তি উপস্থাপন করেছেন। এটি একটি রূপক অভিব্যক্তি। যখনই কোন যুগ একটি অন্ধকার পর্যায় থেকে বেরিয়ে আসে - আলো বিচ্ছুরিত হয়। এটি আমাদের উপর বর্ষিত হবে। এমনকি আপনি না চাইলেও আচমকা আপনার মস্তিষ্ক খুলে যাবে এবং আরও ভালো কাজ করতে শুরু করবে, কারণ আপনি একটি অন্য যুগে চলে এসেছেন। আপনি হয়তো এই অভিব্যক্তিটি শুনে থাকবেন, "আমি একটি উজ্জ্বল ধারণা পেয়েছি।" মানুষ সবসময়ই আলো এবং বুদ্ধিমত্তাকে একসাথে জুড়ে দিয়েছে।

অন্ধকার সবচাইতে ভঙ্গুর জিনিস, কিন্তু তবুও মানুষ এর থেকে ছাড়া পেতে পারে না কারণ তারা ভুল পদ্ধতি প্রয়োগ করে। যদি আপনি একটি ছোট্ট আলো জ্বালিয়ে দেন, অন্ধকার সরে যাবে। এই আলো বা বুদ্ধিমত্তা আপনার থেকেই আসবে, এরকম কোন কথা নয়- এটি একটি দিব্য সম্ভাবনা থেকে উদ্ভূত হয়। যেহেতু কলিযুগের পর্যায় থেকে সৌরজগৎ বেরিয়ে আসছে, একটি অপার্থিব উপহার হিসেবে আপনার বুদ্ধিমত্তা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। বিশেষ কিছু তারামণ্ডল রয়েছে যাদের উড়ন্ত ঘোড়া হিসেবে দেখা হয়। এ কারণেই তারা বলেছিলেন যে কল্কি আপনার উপর একটি উড়ন্ত ঘোড়ায় চড়ে নেমে আসবে এবং আপনার অন্ধকারকে ধ্বংস করে দেবে; যদি আপনি এটিকে আপনার ভেতরে বেঁচে থাকতে দেন।

সত্যযুগ - মনের মাধ্যমে যোগাযোগ

বিভিন্ন যুগে, মানুষ বুদ্ধিমত্তা এবং যোগাযোগের বিভিন্ন মাত্রা ব্যবহার করেন। সত্য যুগে বুদ্ধি নয়, মনই - যোগাযোগ এবং জীবনধারণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়। মানে, আমি যদি দূর থেকে আপনাকে কিছু বলতে চাই, তার জন্য আমার কোন মাইক্রোফোনের দরকার নেই, বা আমাকে চিৎকার করতেও হবেনা। যদি আমি এটির সম্পর্কে চিন্তা করি, আপনি বুঝে যাবেন। সত্যযুগে মানুষ খুব কম কথা বলতো, কারণ মনই ছিলো যোগাযোগের মাধ্যম। যা কিছু করার ছিল তা মানসিকভাবেই করা হয়েছিল। তারা এও বলেন যে শারীরিক ধারণা বলতে কিছু ছিলনা- এটি মানসিক ভাবেই হয়েছে।

ত্রেতা যুগ- চাক্ষুষ উপলব্ধি

ত্রেতাযুগে মনযোগ মন থেকে নেমে চোখে যায়। ত্রেতাযুগে মানুষ যে ভাষা ব্যবহার করত- তারমধ্যে চোখের অন্যতম প্রাধান্য প্রতিফলিত হয়। সেই সময় ভারতে প্রাথমিক অভিনন্দন ছিল "আমি আপনাকে দেখছি।" এর অর্থ "আমি আপনাকে বরাবর দেখছি।" তারা তাদের চোখকে শক্তিশালী উপায়ে ব্যবহার করত। একে নেত্র-স্পর্শ বলা হয়, যার অর্থ আপনি কাউকে নিজের চোখ দিয়ে স্পর্শ করতে পারেন।

স্কুলে যাওয়ার আগে, আমার সাথে এরকম হয়েছিল যে আমি সবকিছুর দিকে তাকিয়ে থাকতে শুরু করি। ওই অবস্থায় যখন আমি স্কুলে গেলাম - আমি তাকিয়েই থাকতাম। প্রথমদিকে আমি কথাগুলো শুনতাম; কিছুক্ষণ পর আমার কাছে শব্দগুলোর কোন মানে থাকত না, কারণ আমি জানতাম যে অর্থগুলি আমি তৈরি করছি। তারপর শব্দগুলোরও আমার কাছে আর কোন মানে থাকত না। লোকের কথা শুনে আমার কখনও কোন বোধ হয়নি। আমি কেবল তাদের দিকে তাকিয়ে থেকেই তাদের ব্যাপারে অনেক বেশি জানতাম। আমি তাকিয়ে থাকতাম, কারণ আমি যখন আমি যথেষ্ট মনোযোগ সহকারে দেখতাম, আমি তাদের সম্পূর্ণভাবে জেনে যেতাম। আমি তাদের ব্যাপারে সবকিছু জানতাম - তাদের জীবন সম্পর্কে এমন সব কথা, যা তারা নিজেরাই জানত না। এটি ক্রমশ আরও বেশি করে আকর্ষণীয় হয়ে উঠল - আমি কোনোকিছুর দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকতাম। যদি আমার কিছু জানার ইচ্ছে হত, আমি সেটার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। কিছুদিন পর আমি উপলব্ধি করি যে এটি করার আরও ভালো উপায় রয়েছে - যদি আমি কিছু জানতে চাই, আমাকে কেবলমাত্র আমার চোখ বন্ধ করে রাখতে হবে।

দ্বাপর যুগ - ঘ্রানজ উপলব্ধি

দ্বাপর যুগে গন্ধের উপলব্ধি সবথেকে বেশি প্রাধান্য পায়। যেখানে জীবনীশক্তি বেশি - গন্ধের বোধটি খুব শক্তিশালী এবং সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। যেমন জঙ্গলে আপনার গন্ধের অনুভূতি- আপনার চোখ, কান এবং আপনার মস্তিষ্কের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঘ্রাণের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন একজন মানুষের সাথে কি ঘটছে।

দ্বাপর যুগে, গন্ধের উপলব্ধি সবথেকে বেশি প্রাধান্য পায় । যেখানে জীবনীশক্তি বেশি,গন্ধের বোধটি খুব শক্তিশালী এবং সংবেদনশীল হয়ে ওঠে।

এই কিছুদিন আগে একটি 'কিং-কোবরা' -কে আশ্রমে অতিথি হিসেবে পাওয়ার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছিলো। এই গ্রহের সবথেকে চমৎকার প্রাণীদের মধ্যে এটি একটি। এটি প্রায় 12 ফুট লম্বা এবং ছয় ফুট উঁচু হয়ে দাঁড়াতে পারে। এটি ওর জীভকে দূর থেকে আপনার স্বাদ নিতে ব্যবহার করে। এটি আপনার রসায়ন জানে। এটি এত দ্রুত চলতে পারে এবং এত মারাত্মক যে এটি আপনাকে কামড় দিলে, আপনার কাছে মাত্র আট থেকে দশ মিনিট সময় থাকে। একটি হাতিকে মেরে ফেলার মতো যথেষ্ট পরিমাণ বিষ এর কাছে রয়েছে, তবে আমরা এর সাথে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি কারণ আমরা জানি যে আমরা যদি আমাদের শরীরে ভুল রসায়ন তৈরি না করি, এটি আমাদের সাথে ভালো ভাবে থাকবে। সমস্ত মাংসাশী প্রাণী, বাস্তবে প্রায় সমস্ত বন্য প্রাণী আপনার রসায়নের প্রতি সংবেদনশীল, তবে বিশেষভাবে সাপেরা অতিমাত্রায় সংবেদনশীল। আপনি জঙ্গলে গিয়ে যে কোনও বিষাক্ত সাপ ধরতে পারেন যদি আপনি সম্পূর্ণ স্বচ্ছন্দভাবে থাকেন । যদি আপনার রসায়ন সামান্য উদ্বেগ বা ভয় দেখায়, তবে এটি আপনাকে আক্রমণ করবে কারণ এটি আপনার শরীরে কী ঘটছে তা তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারে।

যে কারণে যোগীরা তাদের কাছে গোখরো রাখেন এবং শিব নিজের কাছে গোখরো রাখেন তা হল - পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীদের মধ্যে, একটি গোখরোর চারপাশে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আকাশীয় আভা বর্তমান থাকে। যার অর্থ হলো এর একটি অসাধারণ চেতনা রয়েছে। উপলব্ধির জন্য, এই বিশেষ প্রাণীটি সহায়ক, এবং এর এই উপলব্ধির কাছে যোগীরাও মাথা নত করে থাকেন। এদের উপলব্ধি বেশিরভাগ মানুষের চেয়ে ভাল কারণ- এরা নিজেদের চারপাশে যে আকাশীয় আভা তৈরি করে তার জন্য। ভারতে কয়েকটি উপজাতি রয়েছে যাদের নির্দিষ্ট পরিমাণে আকাশীও আভা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সাধনা রয়েছে, যাতে করে তারা এমন সব জিনিস বুঝতে পারে যা অন্যরা বুঝতে পারে না। আপনি যতটুকু উপলব্ধি করেছেন, ততটুকুই আসলে জানেন - বাকি সবকিছু অর্থহীন। আমি কিছু বলতে পারি, কোন দেবতা কিছু বলতে পারেন, এটি কোন ধর্মগ্রন্থে লেখা থাকতে পারে, কিন্তু এগুলো সবই অর্থহীন যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি নিজের উপলব্ধি থেকে না জানেন।

কলিযুগ- মৌখিক অভিব্যক্তি

মানসিক, চাক্ষুষ এবং ঘ্রাণের স্তরের উপলব্ধি থেকে সরে এসে - কলি যুগে মানুষ সম্পূর্ণ মৌখিক হয়ে যায়। তাদের মুখই সবচেয়ে বড় জিনিস হয়ে ওঠে। সৌরজগৎ যখন এইসব যুগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আপনি যদি এটির সাথে তালমিল বজায় রেখে চলেন, আপনিও এইসব যুগের মধ্যে দিয়ে যাবেন। যদি আপনি এর উর্দ্ধে হন, আপনি যেখানে খুশি সেখানে থাকতে পারেন। আপনি যদি আপনার নিজস্ব ব্যাপার নিয়ে আটকে থাকেন, তবে গ্রহটি হয়তো সত্যযুগে রয়েছে, কিন্তু আপনি আপনার কলিযুগে থাকতে পারেন। অর্থাৎ প্রতিটি ব্যক্তি এখনো স্বাধীন যে সে যে যুগে আছে সেটিকে অতিক্রম করে যেতে পারে, অথবা যুগের দ্বারা পিষ্ট হতে পারে, কিংবা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। এই তিনটি সম্ভাবনাই তাদের জন্য রয়েছে।

Editor’s Note: “Mystic’s Musings” includes more of Sadhguru’s wisdom on life, death and the human mechanism. Read the free sample or purchase the ebook.

A version of this article was originally published in the February 2016 Isha Forest Flower. Download as PDF on a “name your price, no minimum” basis or subscribe to the print version.