মৃত্যুর মুহূর্তের সচেতনতাকে বেদনানাশক ওষুধ কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে সে সম্পর্কে একটি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সদগুরু।

সদগুরু দেখছেন যে, ভারত যেভাবে অর্থনৈতিক উত্থানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে, এহেন অবস্থায় মানুষের জীবনে আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া না নিয়ে আসলে, তা এক বিপর্যয় হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সদগুরু জীবনের মাঝবয়সের সংকট নিয়ে একটি প্রশ্নের উত্তর দেন, এবং জীবন কীভাবে এক নিত্য পরিবর্তনের প্রক্রিয়া তা নিরীক্ষণ করেন।

সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন যে কিভাবে কর্ম, নিষ্পাদিত কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বরং কাজের পেছনে যে অভিপ্রায় থাকে তার সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা যদি কোনো পরিস্থিতিতে যেমন প্রয়োজন শুধুমাত্র সেভাবে কাজ করি তাহলে কোন কর্ম সৃষ্টি হয় না। পড়তে থাকুন।

সদগুরু বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কিত একটা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন এবং ব্যাখ্যা করছেন যে এটা ঘটছে তার কারণ মানুষকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য যে সব সহায়ক ব্যাবস্থাগুলো ছিল, আমরা সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছি।

আজকাল অনেকেই আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন কারণ এটাকে শোচনীয়ভাবে বেঁচে থাকার একটা উপায় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে, সদগুরু আধ্যাত্মিক হবার সঠিক অর্থ প্রকাশ করেছেন।

সদগুরু হাসি নিয়ে মর্মভেদী একটি জেন্ গল্প বলছেন এবং নিজের জীবনের মারাত্মক এক ঘটনার মাধ্যমে এর অর্থ ব্যাখ্যা করছেন।

ভারতবর্ষ এখন এক জল সংকটের সম্মুখীন। বর্ষার সময় বন্যা এবং, বর্ষার পরেই খরা। কেন আমরা এই সঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছি, তার তিনটি কারণ এবং সমাধান নিয়ে আলোচনা করছেন সদগুরু।

সদগুরু উত্তর দেন আমাদের নিজ মন আধ্যাত্মিতার পথে সত্যিই কতটা বিপক্ষে কাজ করে।

শিব নিশ্চলতা আর উচ্ছলতার এক মাদকীয় মিশ্রণ যা আপনাকে নিয়ে যায় ইন্দ্রিয়ের ঊর্ধ্বে এবং জীবনের পরম সত্তার অনুভব ঘটায়। সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন।

সদগুরু ছেলেবেলায় যে বইগুলো পড়ে তার মন সমুদ্রে হারিয়ে ফেলেছিলেন, আর পরবর্তীকালে যে বইগুলো তাকে রুশ নির্মাণকার্যে আগ্রহী করে তুলেছিল, তার গল্প করছেন তিনি।

সদগুরু জানালেন, কীভাবে নিজেকে পরিচালনা করে নিজের দেহতন্ত্র থেকে অবসাদ দূর করা যায়: "যোগে, অবসাদকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় দেহ, মন এবং শক্তির স্তরে। ভৌত দেহ, মানসিক স্তর এবং প্রাণশক্তির মধ্যে যদি প্রয়োজনীয় ভারসাম্য এবং উচ্ছলতা আনা যায়, তখন পরম আনন্দে থাকাটাই অত্যন্ত স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।"

সদগুরু এখানে প্রথম দিকের এক সুফি সাধক মনসুর অল-হল্লাজের কাহিনি শোনাচ্ছেন, যাঁকে নিষ্ঠূর নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল শুধু “অনাল হক” কথাটি বলার জন্য, যার অর্থ হল “আমিই ঈশ্বর, আমিই সেই চূড়ান্ত সত্য।”

সত্যের সাথে যুবসমাজ প্রশ্নোত্তর পর্বে এক ছাত্রের প্রশ্ন ছিল, গবেষণা, প্রযুক্তি ও কৃষিজাত উৎপাদনে অভাবনীয় উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবী থেকে এখনও ক্ষুধা নিবৃত্তি হচ্ছেনা কেন ? উত্তরে সদগুরু স্পষ্ট বললেন, ব্যথর্তা কৃষিতে নেই, ব্যথর্তার বীজ লুকিয়ে আছে মানুষের হৃদয়ের গভীরে –

যে সম্পর্কগুলি মধুর হওয়ার কথা, কেন সেগুলি তার অন্তর্নিহিত মধুরতা হারিয়ে তিক্ত হয়ে ওঠে আমাদের অজান্তে ? মৌনি রায়ের প্রশ্নের উত্তরে, মানবিক সম্পর্কের অন্তর্লীন রসায়নটি কেমন হওয়া উচিত, বিশ্লেষণ করেছেন সদগুরু