প্র: অবসাদ এবং দুশ্চিন্তার মতো মানসিক-স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো যেন ভারতবর্ষ সমেত পৃথিবীর অনেক জায়গায় দ্রুতহারে বেড়ে চলেছে। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?

সদগুরু: মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়া কোন মজার ব্যাপার নয়। এটা সবথেকে কষ্টকর ব্যাপার। আপনার যদি শারীরিক অসুস্থতা থাকে তাহলে আপনি প্রত্যেকের সহানুভূতি পাবেন, কিন্ত যখন আপনার কোন মানসিক অসুস্থতা থাকে তখন দুর্ভাগ্যবশত আপনি হবেন হাসির পাত্র। কারণ এটা বোঝা খুবই মুশকিল কখন একজন অসুস্থ আর কখন একজন বদমায়েশি করছে। যাদের বাড়িতে একজন মানসিকভাবে অস্থির মানুষ থাকেন - তাদের জন্য এটাই সবথেকে বড় সমস্যা। আপনি বুঝতে পারেন না কখন তারা মিথ্যে ভান করছে আর কখন সত্যিকারেই কষ্ট পাচ্ছে। আপনি জানেন না কখন আপনি তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন আবার কখন শক্ত হবেন।

মানসিক প্রকৃতিস্থতা বড়ই ভঙ্গুর। প্রকৃতিস্থতা ও অপ্রকৃতিস্থতার মাঝখানের লাইনটা খুবই সরু। যদি আপনি প্রত্যেকদিন এটিকে ঠেলতে থাকেন তাহলে একদিন লাইনটা অতিক্রম করে যাবেন। আপনি যখন রেগে যান তখন কোন অভিব্যক্তিটা ব্যবহার করা হয়? " রাগে আমার মাথার ঠিক নেই," অথবা, "আমি এখন রেগে পাগল।" আপনি হয়তো ওই সামান্য একটু পাগলামি উপভোগ করতে পারেন - আপনি লাইনটা অতিক্রম করলেন আর এক ধরনের মুক্তি ও ক্ষমতার স্বাদ পেলেন। কিন্তু একদিন যখন আপনি আর লাইনের এপারে আর ফিরে আসতে পারেন না - তখন শুরু হয় আপনার যন্ত্রণা। এটা শারীরিক বেদনার মতো নয় - এটা একটা অপরিসীম যন্ত্রনা। আমি মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষদের মধ্যে থেকেছি - তাদের সাহায্য করার চেষ্টায়। এ রোগ কারুরই হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটা পৃথিবীতে মহামারীর আকার নিচ্ছে।

মানসিক ব্যাধি কেন ক্রমবর্ধমান

পাশ্চাত্য সমাজে এটা বিরাট আকারে ঘটছে। ভারতবর্ষও খুব বেশি পিছিয়ে থাকবে না। ভারতের শহুরে সমাজ বিশেষ করে এই দিকে এগিয়ে যাবে, কারণ অনেকভাবেই শহুরে সমাজ পশ্চিম-দেশীদের থেকেও বেশি পশ্চিমী। আমাদের এখানে ডেনিম পরা মানুষের সংখ্যা আমেরিকার থেকেও বেশি!

মানসিক ব্যাধির এরকম নজীরবিহীন বৃদ্ধি ঘটছে কারণ আমরা মানুষদের যেসব সহায়ক ব্যাবস্থাগুলো ছিল সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছি কিন্তু তার বদলে কোন সহায়ক কিছু দিচ্ছি না। মানুষ যদি নিজের মধ্যে সেভাবে সচেতন ও সক্ষম হয়ে ওঠে - তাহলে আপনি সমস্ত সহায়ক সরিয়ে নিলেও সবকিছু ঠিক থাকবে। কিন্তু সেই দক্ষতা না দিয়ে আপনি যদি শুধুই সহায়ক গুলো সরিয়ে নেন তাহলে মানুষগুলো ভেঙে পড়বে।

পরিবার ছিল কিছু মানুষের একটা সমষ্টি- যারা আপনার সার্কাসের নিরাপত্তা-জালের মত ছিলেন। আপনি যেভাবেই পড়ুন না কেন, কিছুক্ষনের জন্য আপনাকে ধরে রাখার মতো কেউ না কেউ ছিলেন।

বহুকাল ধরে আমাদের মানসিক এবং আবেগগত স্থিতিশীলতার জন্য আমরা কতকগুলো জিনিসের উপর নির্ভর করে এসেছি। কিন্তু এখন, সেইসব জিনিসগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একটা হল পরিবার। পরিবার আমাদের একটা বিশেষ সহায়তা দেয় - যাই ঘটুক না কেন আপনার জন্য কেউ না কেউ থাকতোই। বাকি সকলে আপনার সঙ্গে আছে - যখন আপনি সবকিছু ঠিক করেন। আপনি যদি ভুল কাজ করেন - তারা নিজেদের দূরে সরিয়ে নেবে। পরিবার ছিল কিছু মানুষের একটা সমষ্টি - যারা আপনি যে সার্কাস করতেন তার নিরাপত্তা জালের মত ছিলেন। আপনি যেভাবেই পড়ুন না কেন কিছুক্ষন আপনাকে ধরে রাখার জন্য কেউ না কেউ ছিলেন। কিন্তু আজকাল অনেক মানুষের জন্যই সেই জালটা আর নেই। এখন আপনি পড়লে, আপনি পড়েই যাবেন। সেই কারণেই মানুষজন ভেঙ্গে পড়ছে।

ভারতীয় সংস্কৃতিতে এমন একটা ঐতিহ্যময় সময় ছিল- যখন জনসংখ্যার 30 শতাংশ সন্ন্যাসী ছিলেন। সচেতনভাবে তারা পরিবার ছাড়াই জীবন যাপন বেছে নিয়েছিলেন, কোন সাহায্য ছাড়াই বাঁচবার জন্য, বাড়ি ছাড়াই বাঁচবার জন্য - গৃহহীনতা বঞ্চনার কারণে নয় বরং নিজের পছন্দে। তাদের কারোরই কখনও অবসাদ ছিল না কারণ তারা ওই জালের প্রয়োজনীয়তার উর্দ্ধে উঠেছিলেন।

আপনি যদি আপনার ট্রাপিজ বারের খেলা খুব ভালোভাবে রপ্ত করে থাকেন তবে আপনি এটা নেট ছাড়াই করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি এতে পারদর্শী না হন তাহলে আপনার নেট ব্যবহার করাই ভালো, তা নাহলে আপনার মাথাটা ফাটবে। এসবই এখন ঘটে চলেছে। আমাদের যে ঐতিহ্যগত সহায়ক ব্যাবস্থাগুলো ছিল - সেগুলো আমরা সরিয়ে নিচ্ছি।

আরেকটা দিক হলো ধর্ম। ধর্ম মানুষের মানসিক ভারসাম্যের দিকটা অনায়াসেই সামলাতে পারতো। "ঈশ্বর আপনার সঙ্গে আছেন, কোন চিন্তা নেই।" এটাই বহু মানুষের মধ্যে স্থিতি এনে দিত। এর উপযোগিতার অবমূল্যায়ন করবেন না। আজকাল মানুষজন মনস্তত্ত্ববিদের কাছে যাবার চেষ্টা করছে। ভারতবর্ষে 130 কোটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত মনস্তত্ত্ববিদ নেই। কোনো দেশেরই নেই। সবচেয়ে বড় কথা তারা একেবারেই কার্যকরী নয়, কেননা তারা একবারে কেবলমাত্র একজন মক্কেলকেই দেখতে পারেন, এবং তাদের অনেক আসবাবপত্রের প্রয়োজন! যথোচিত সম্মানের সঙ্গে ধর্মের এই দিকটা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। এটা খুব সস্তায় মানসিক রোগের গনচিকিৎসা।

প্র: এটা অবশ্যই একটা সংকট যেটা আমাদের কষ্ট দেয় এবং কেউ কেউ সাহায্যও নেয়। অনেক সময় রোগের কারণ দেখা যায় রাসায়নিক অসাম্যতা এবং তার জন্য ওষুধপত্র দেওয়া হয়। আপনি আমাদের ভেতরেই সেই মধুরতার সন্ধান সম্পর্কে বলেছেন। এরকম পরিস্থিতিতে সেটা কিভাবে সাহায্য করতে পারে?

রসায়নের একটা সমবেত ঐকতান

সদগুরু: মানবিক মধুরতাকে নানাভাবে দেখা যেতে পারে। একটা খুব সাধারণ উপায় এই যে মানুষের প্রত্যেকটি অভিজ্ঞতার একটা রাসায়নিক ভিত্তি আছে। আমরা যাকে বলি শান্তি, আনন্দ, ভালোবাসা, অশান্তি, প্রশান্তি, যন্ত্রণা, পরমানন্দ - প্রত্যেকটির একটা রাসায়নিক ভিত্তি আছে। এমনকি স্বাস্থ্য এবং অস্বাস্থ্যেরও একটা রাসায়নিক ভিত্তি আছে। একজন চিকিৎসকের কাজ হল রসায়নের এই ঐকতানকে পরিচালনা করার চেষ্টা করা। আজ সমগ্র ওষুধসংক্রান্ত বিজ্ঞান শুধুমাত্র রাসায়নিক দ্রব্যের মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্য পরিচালনার চেষ্টা করছে।

এমনকি মানসিক অসুস্থতাও বেশিরভাগটাই বাইরে থেকে রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিন্তু এই গ্রহে যত রকম রাসায়নিক পদার্থের কথা আপনি ভাবতে পারেন, সে সবই কোন না কোনওভাবে আমাদের শরীরে ইতিমধ্যেই উপস্থিত রয়েছে।

মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ

মূলত স্বাস্থ্য মানে হল একটি মাত্রার মধুরতা। আপনার শরীর যদি মনোরম থাকে তাহলে আমরা তাকে স্বাস্থ্য বলি। আপনার শরীর যদি খুবই মনোরম হয়ে ওঠে তাহলে তাকে আমরা তাকে সুখ বলি। আপনার মন যদি মনোরম হয়ে ওঠে, আমরা তাকে বলি শান্তি। এটা যদি খুবই মধুর হয়ে ওঠে, আমরা তাকে বলি আনন্দ। আপনার আবেগ যদি মনোরম হয়ে ওঠে, আমরা তাকে বলি ভালোবাসা। যখন সে গুলো খুবই মধুর হয়ে ওঠে, আমরা তাকে বলি করুণা। যখন আপনার জীবনীশক্তি মনোরম হয়ে ওঠে, আমরা তাকে বলি পরমানন্দ। যখন সেগুলো অত্যন্ত মধুর হয়ে ওঠে, তখন আমরা তাকে বলি তূরীয়ানন্দ। যখন আপনার পারিপার্শ্বিক মনোরম হয়ে ওঠে তখন আমরা তাকে বলি সাফল্য।

যোগ আপনার অন্তঃস্থলে স্পন্দনরত সৃষ্টির উৎস স্থলে প্রবেশাধিকার দেয়। আপনার ভেতরে এমন একটা বুদ্ধিমত্তা আছে যা চালের একটা দানা বা একটা কলা বা এক টুকরো রুটি কে মানুষে রূপান্তরিত করতে পারে।

আমরা রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে মধুরতাকে পরিচালনা করার চেষ্টা করছি। বলা হচ্ছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের 70 শতাংশ জনসংখ্যা কোন না কোন নির্দেশিত ওষুধের উপর নির্ভরশীল। সবচেয়ে ধনশালী দেশে, যেখানে পুষ্টিকর খাদ্য এবং জীবনধারা বেছে নেওয়ার প্রচুর সুযোগ রয়েছে - সেখানে 70 শতাংশ মানুষ নির্দেশিত ওষুধ ব্যবহার করছেন। আপনার মানসিক সুস্থতা এবং শারীরিক স্বাস্থ্য আপনি বাইরে থেকে রাসায়নিক পদার্থ ঢুকিয়ে পরিচালনা করতে চাইছেন।

মানব শরীর অত্যন্ত জটিল একটি রাসায়নিক কারখানা। বাইরে থেকে একে পরিচালনা করা খুবই কঠিন। আপনি ভেতর থেকে এটিকে পরিচালনা করতে পারেন, কিন্তু তার জন্য অবশ্যই আপনার নিজের ভিতরে প্রবেশাধিকার থাকতে হবে! যোগ আপনার অন্তঃস্থলে স্পন্দনরত সৃষ্টির উৎস-স্থলে প্রবেশাধিকার দেয়। আপনার ভেতরে এমন একটা বুদ্ধিমত্তা আছে যা চালের একটা দানা বা একটা কলা বা একটুকরো রুটিকে মানুষে রূপান্তরিত করতে পারে। একটুকরো রুটি দিয়ে আপনি এই গ্রহের সবচেয়ে জটিল যান্ত্রিক-গঠনটি উৎপাদন করেন! এই বুদ্ধিমত্তার একটা ফোঁটাও যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রবেশ করে, আপনার জীবন ম্যাজিকের মতো হয়ে যাবে, কষ্টকর নয়।

মানুষ যে যন্ত্রণা ভোগ করছে সেটা কেবলই তাদের মানসিক নাটক। এটা আপনারই নাটক কিন্তু খুবই বাজেভাবে নির্দেশিত। আপনি যদি এই নাটক থেকে কষ্ট পাচ্ছেন, তাহলে অবশ্যই আপনার চারপাশে সকলেও এই যন্ত্রণা ভোগ করছেন। আপনার নাটকটা যদি খারাপভাবে নির্দেশিত হয়, তাহলে একমাত্র আপনিই পারেন এটাকে একটা উপভোগ্য নাটকে পরিণত করতে। আপনার মনের ভেতর যা ঘটে চলেছে- সে শুধু আপনারই নাটক। আপনাকে শুধুমাত্র আরো ভালো নির্দেশক হতে হবে, যাতে করে আপনার নাটক আপনারই ইচ্ছানুসারে ঘটে। এই বিশ্বের নাটক হয়তো আপনার মত করে ঘটবে না, কারণ এটা আপনার থেকে অনেক বড়, কিন্তু নিদেন পক্ষে আপনার মস্তিষ্কে যা কিছু ঘটে চলেছে সেগুলো আপনার ইচ্ছেমত হওয়া উচিত। এখন সময় হয়েছে এটা নিয়ন্ত্রণের ভার নেওয়ার।

আপনি যেমন বাইরেটার প্রযুক্তিগত নির্মাণ করতে পারেন, তেমনি আপনি নিজের ভেতরটাও ঠিকভাবে নির্মাণ করতে পারেন। বাহ্যিক সুখ এবং স্বাচ্ছন্দ্য সৃষ্টির জন্য যেমন একটা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আছে, তেমনই একটা সমগ্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি রয়েছে অভ্যন্তরীন সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য সৃষ্টির জন্য। আপনার অভ্যন্তরীন নির্মাণেরও একটা উপায় আছে। আপনি যেমন আছেন, কিভাবে তার মৌলিক রসায়ন পরিবর্তিত করে পরমানন্দের রসায়ন সৃষ্টি করা যায় - তার উপযুক্ত বৈজ্ঞানিক পদক্ষেপ রয়েছে। একবার যখন আপনি পরমানন্দের রসায়ন সৃষ্টি করেন তখন আপনি নিজের প্রকৃতিতেই পরমানন্দে থাকেন, অন্য কোন কিছুর জন্য নয়। এটাই 'ইনার ইঞ্জিনিয়ারিং' হিসেবে আমরা অফার করে থাকি।.

'ইনার ইঞ্জিনিয়ারিং অনলাইন' আপনাকে অবসাদ এবং উৎকণ্ঠা থেকে বার হতে সাহায্য করতে পারে

ইউনিভার্সিটি অফ ইন্ডিয়ানা, বেথ ইজরাইল ডেকানেস মেডিকেল সেন্টার, রুটগারস এবং ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সুবিস্তৃত পর্যবেক্ষণে এটা পাওয়া গেছে যে শুধুমাত্র 90 দিনের 'ইনার ইঞ্জিনিয়ারিং' অভ্যাসের ফলে মস্তিষ্কে উৎপন্ন নিউরোট্রপিক ফ্যাক্টর( BDNF) -এর মাত্রা 300 শতাংশ বেড়ে যায়। এটা একটা স্বীকৃত ঘটনা যে যদি বি.ডি.এন.এফ. নিম্নমাত্রায় থাকে তাহলে তা উৎকণ্ঠা, অবসাদ, আলঝাইমারস, মানসিক নিঃশেষণ এবং বিকলতার দিকে নিয়ে যায়। তাই 'ইনার ইঞ্জিনিয়ারিং' -এর মাধ্যমে লোকজন তাদের অবসাদগ্রস্ত ভাব এবং উৎকণ্ঠার অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। 

'ইনার ইঞ্জিনিয়ারিং' প্রক্রিয়াটির মধ্যেই শরীর, মন, আবেগ এবং জীবনীশক্তি অন্তর্ভুক্ত আছে। শরীর এবং জীবনীশক্তিকে নিয়ে যা করা প্রয়োজন সেটা আমাদের সরাসরি করতে হবে, কারণ সেটা হল একটা হস্তান্তরণ( ট্রান্সমিশন), কোন শিক্ষণ নয়। কিন্তু আমরা মন এবং আবেগ নিয়ে যা করি সেটা হল এক ধরনের শিক্ষণ। আপনি অনলাইনে সেটা উপলব্ধি করতে পারবেন।

..শুধুমাত্র 90 দিনের 'ইনার ইঞ্জিনিয়ারিং' অভ্যাসের ফলে মস্তিষ্কে উৎপন্ন নিউরোট্রপিক ফ্যাক্টর( BDNF) -এর মাত্রা 300 শতাংশ বেড়ে যায়।

অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই, যদি তারা যেভাবে চিন্তা করেন এবং অনুভব করেন সেটা বদলানো যায়, আপনি দেখবেন তাদের জীবনে বিশাল একটা পরিবর্তন এসেছে। আপনি যদি যেমন চান সেভাবে চিন্তা করতে পারেন- বাধ্যতামূলক ভাবে অন্য কিছু নয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি পরমানন্দে থাকবেন। এখনই যদি আপনি আপনার আবেগগুলো খুব মনোরম রাখতে পারেন, তাহলে আপনার বাড়িও অত্যন্ত মনোরম হয়ে উঠবে। সবকটি মানসিক এবং আবেগজনিত উপকার- যেগুলো স্বভাবতই সামাজিক ব্যবহারে প্রকাশ পায়, সে সবই আছে 'ইনার ইঞ্জিনিয়ারিং অনলাইনে'। তেজোগত মাত্রা এবং শারীরিক দিকটা সরাসরি ট্রান্সমিশন করার প্রয়োজন আছে। ওটা অনলাইনে শেখানো হবে না কেননা এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িয়ে আছে। আপনাকে শম্ভবী মহামুদ্রা আলাদাভাবে শিখতে হবে। তবে 'ইনার ইঞ্জিনিয়ারিং অনলাইন' আপনি যেভাবে চিন্তা এবং উপলব্ধি করেন তার রূপান্তর ঘটাবে।

অধিকাংশ মানুষই মনে করেন যে এটাই বুঝি চূড়ান্ত রূপান্তর। যদি কেউ অন্যরকমভাবে চিন্তা ও অনুভব করতে পারেন এবং তারা মনোরম মানুষ হয়ে ওঠেন, তখন লোকজন বলতে শুরু করেন, " উনি একজন আধ্যাত্মিক মানুষ, উনি কি চমৎকার।" না, উনি একজন সাধারণ মানুষ মাত্র, অন্যদের বিবর্তন এখনও চলছে! যদি কোন মানুষ সচেতন হন- তিনি যেমনটি চান সেরকমই চিন্তা করেন, বাধ্যবাধকতার বশে নয়; এবং নিজের ইচ্ছেমত তার আবেগ ধরে রাখেন, তিনি শুধুই একজন মানুষ মাত্র। যারা নিজেদের ইচ্ছামত চিন্তা এবং অনুভবও করতে পারেন না, সেখানে বিবর্তন ঘটিত সমস্যা রয়েছে। এই বিবর্তনগত সমস্যা 'ইনার ইঞ্জিনিয়ারিং অনলাইন' প্রোগ্রামের মাধ্যমে সামলানো যেতে পারে।

 

Editor's Note:  Inner Engineering Online is available free of cost for healthcare professionals and at 50% for everyone else. Register today!