মানুষের জীবনে কি একটিমাত্র সম্পর্ক থাকা উচিত এবং একটি আন্তরিক ও একনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকাই কি শ্রেয়- এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সদগুরু।

এক কলেজ ছাত্রের প্রশ্নের উত্তরে সদগুরু সম্পর্ক ভাঙার পর কি করে এগিয়ে যেতে হয়- তা বলেছেন; বিষয়টিকে যোগের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন এবং একজনের জীবনে বৌদ্ধিক, মানসিক এবং শারীরিক অখণ্ডতা আনার গুরুত্বের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

চলচ্চিত্র নির্মাতা কুনাল কোহলি সদগুরুর সাথে ভোপালে কথোপকথন করছিলেন। এখানে তারই এক উদ্ধৃতাংশ - যেখানে তাঁরা প্রেম, সম্পর্ক ও পরিবার নিয়ে কথা বলছেন।

সদগুরু সমস্ত সম্পর্কের মৌলিক ভিত্তি কি এবং কিভাবে তাদের সাথে জড়িত প্রত্যাশাগুলির মোকাবিলা করবেন তা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করছেন।

যদিও এটা সত্যি কথা যে, সন্তানদের মানুষ করার কোনো একমাত্র সংজ্ঞা বা সঠিক পদ্ধতি হয় না, তবে সন্তান লালনপালনের কয়েকটি পরামর্শ মেনে চললে সন্তানের সুখের নিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে। সন্তানকে বড় করার ক্ষেত্রে সদগুরুর দেওয়া ১০টি পরামর্শের উপর এক ঝলক চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

কোনও আচেনা ব্যক্তির সঙ্গে মেশার ক্ষেত্রে অনেকেই এক ধরনের “সামাজিক উদ্বেগের” শিকার হয়। জনৈক ছাত্রের প্রশ্ন ছিল, কীভাবে এই সামাজিক উদ্বেগ কাটিয়ে ওঠা যায় ? উত্তরে সদগুরু যা বললেন –

সন্তানের জীবনে মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক কতটা প্রভাব বিস্তার করে, এটাই ছিল লক্ষ্মী মাঞ্চুর প্রশ্ন। একুশ বছর বয়সের পর সন্তানের জীবন মা-বাবার যাবতীয় কার্মিক প্রভাব মুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ নতুন ভাবে শুরু হওয়ার কথা, উত্তরে বললেন সদগুরু -

যে সম্পর্কগুলি মধুর হওয়ার কথা, কেন সেগুলি তার অন্তর্নিহিত মধুরতা হারিয়ে তিক্ত হয়ে ওঠে আমাদের অজান্তে ? মৌনি রায়ের প্রশ্নের উত্তরে, মানবিক সম্পর্কের অন্তর্লীন রসায়নটি কেমন হওয়া উচিত, বিশ্লেষণ করেছেন সদগুরু

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই, একই জাতীয় পচ্ছন্দ – অপচ্ছন্দ ও সমভাবাপন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সাধারণ ভিতের উপর দাঁড়িয়েই দু’জন মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। সদগুরুর অনন্য বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এমনকি একটি আপেল ও কমলালেবুর মধ্যেও প্রকৃত বন্ধুত্ব তৈরি হতে পারে, যদি তারা অন্যের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাজটা করার সাহস রেখেও একে অপরের প্রতি ভালবাসার মধুরতা বজায় রাখতে পারে!