ঈশা ফাউন্ডেশন অরণ্য জমি দখল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এবং দোষারোপ করা হচ্ছে। আমরা পুনরায় আরও দৃঢ়ভাবে সবাইকে জানাতে চাই যে এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং ঈশা ফাউন্ডেশনের সুনামকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে কিছু প্রণোদিত গোষ্ঠীর দ্বারা এই একরোখা প্রয়াস করা হচ্ছে।

আসল সত্যতা

যোগ সেন্টার যে জমিতে তৈরী হয়েছে সেটি 100 শতাংশই পাট্টা জমি এবং তা ব্যক্তিগত জমির মালিকদের কাছ থেকে বৈধ ভাবে ক্রয় করা হয়েছে। ঈশা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে থেকেই এই জমিগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ব্যক্তিগত মালিকানার অন্তর্গত ছিল।

অফিসিয়াল ভেরিফিকেশন

তামিলনাড়ু বন দফতরের আধিকারিকরা উপরোক্ত বিষয়গুলি যাচাই এবং স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত করেছেন, আর ঘোষণা করেছেন যে ঈশা যোগ সেন্টার বনভূমিতে অনুপ্রবেশ করেনি এবং আশেপাশের উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতের উপর এর কোনও বিরূপ প্রভাব নেই।

ঈশা যোগ সেন্টার দ্বারা কোনও ভূমি দখল বা হাতির করিডোরে অনুপ্রবেশ করা হয়নি: RTI-এর উত্তরে তামিলনাড়ু সরকারের প্রতিক্রিয়া 

আরও পড়ুন

(i) মাননীয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট এবং জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনাল (NGT) -এ ভুয়ো পরিবেশ সংরক্ষণ গোষ্ঠীগুলো দ্বারা দায়ের করা ‘রিট পিটিশন’ -এর উত্তরে তামিলনাড়ু বন বিভাগ তার কাউন্টার এফিডেভিট বা প্রতি-হলফনামায় নথি রেফারেন্স নম্বর CFCIT/07/2013 -টি উল্লেখ করেছেন।

(ii) জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনাল (NGT) -এর কাছে দাখিল করা কাউন্টার এফিডেভিট বা প্রতি-হলফনামায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ভারত সরকার ((MoEFCC) একই কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

ঐতিহাসিক যাচাইকরণ

ঈশা ফাউন্ডেশন অরণ্য জমি দখল করেনি তা প্রমান করার সমস্ত  সরকারী রেকর্ড রয়েছে বলে বারবার বলা সত্ত্বেও, প্রণোদিত গোষ্ঠীগুলো নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে ঈশা -কে নানা রকম অপবাদ দিয়ে বদনাম করে চলেছে ।

পুরানো রেকর্ড সোজা ভাবে দেখানোর জন্য আমরা ঐতিহাসিক প্রমাণ পেশ করতে চাই যাতে স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে এই মুহূর্তে ফাউন্ডেশনের মালিকানাধীন জমির জরিপ নম্বরগুলি যথাযথভাবে ব্যক্তিগত জমির মালিকানায় ছিল। নীচের চিত্রগুলি যা 1910 সালের স্বাধীনতা-পূর্ব ব্রিটিশ ভারতে তৈরী করা বর্ণনামূলক মানচিত্র থেকে 1960 সালের জরিপ মানচিত্র তৈরী করা হয়েছিল, যেখানে আমরা স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাচ্ছি যে এই সমীক্ষা নম্বরগুলির জমিজমা ব্যক্তিগত ছিল এবং বনাঞ্চল বা অরণ্য ভূমি তাদের থেকে একেবারে আলাদা ।

আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য, আমরা 1994 সালে নিরীক্ষিত মানচিত্র উপস্থাপন করি, যা বর্তমানে ঈশার মালিকানাধীন সমীক্ষা নম্বরগুলিকে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করে৷ এখানে আবার এটা স্পষ্ট যে এগুলো নথিভুক্ত জরিপ নম্বর সহ ব্যক্তিগত জমি এবং যা  সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আওতায় পড়ে না ।

প্রযুক্তিগত প্রমাণ

সত্যতা যাচাইকরণের জন্য আরও প্রমাণ হিসেবে আমরা স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সাহায্য নিতে পারি। গুগল আর্থের ছবি থেকে স্পষ্টভাবেই এটা বোঝা যায় যে আদিযোগীর স্থানটি যেটা  গুজব-রটনাকারীদের মূল লক্ষ্য, সেটা আদতে বনাঞ্চল বা অরণ্য ভূমি নয়। এটা স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় যে আশেপাশের সমস্ত এলাকা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। এমনকি, 2006 সাল পর্যন্তও (স্যাটেলাইট চিত্রগুলি শুধু এই বছর থেকেই পাওয়া যায়) এগুলি ব্যক্তিগত জমি ছিল– বনাঞ্চল বা অরণ্য ভূমি নয়। এই অঞ্চলগুলি 2006 সালে চাষ করা জমি বা বেড়া দেওয়া অব্যবহৃত খোলা কিছু ব্যক্তিগত জমির অংশবিশেষ ছিল।

প্রমাণস্বরূপ এখানে কিছু ছবি দেওয়া হল :

গুগল আর্থ ইমেজ 2006

গুগল আর্থ ইমেজ 2012

গুগল আর্থ ইমেজ 2016

ব্যক্তিগত যাচাইকরণ

কিছু মানুষের যদি তাও কোনও সন্দেহ থাকে এবং তাঁরা এখনও ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি যাচাই করার প্রয়োজন বোধ করেন, আমরা তাঁদের তা করতে স্বাগত জানাই। বিভিন্ন ধরনের পাবলিক রেকর্ড - পঞ্চায়েত রেকর্ড, সার্ভে নম্বর, রাজস্ব রেকর্ড যা এমনকি স্বাধীনতা-পূর্বের সময় থেকে রয়েছে এবং বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমাধানও নাগরিকদের হাতে রয়েছে। যাঁদের হৃদয়ে এখনও সন্দেহ এবং অবিশ্বাস রয়েছে আমরা তাঁদের অনুরোধ করছি অনুগ্রহ করে নিজের আত্মতুষ্টির জন্য ও সত্যতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে, কষ্ট করে সমস্ত তথ্য-প্রমাণাদি নিজেই যাঁচাই করে দেখুন।