আর্টিকেল 12 অগাস্ট, 2016

আদালতের রায় বিতর্কের অবসান ঘটালো

প্রধান জেলা বিচারক (PDJ) যিনি 10 অগাস্ট ঈশা যোগ সেন্টার গিয়েছিলেন মা মাথি ও মা মায়ুর সাথে কথা বলতে, বিচারপতি এস. নাগামুথু এবং ভি. ভারতীদাসান -এর  ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর রিপোর্ট পরীক্ষা করার পর আবেদনটি খারিজ করে দেন। প্রধান জেলা বিচারক (PDJ) "তাঁর প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই এবং আটক ব্যক্তিরা তাঁদের নিজের ইচ্ছাতেই ফাউন্ডেশনে বসবাস করছেন। "ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে করা ভিত্তিহীন অভিযোগগুলি খারিজ করে বেঞ্চ বলেছে,"...আমরা মনে করি এখন পর্যন্ত রেকর্ডে এমন কোনও উপাদানই পাওয়া যায়নি যা বিন্দুমাত্র ইঙ্গিত দেয় যে মিসেস গীতা কামরাজ এবং মিসেস লাথা কামরাজকে অবৈধভাবে ঈশা ফাউন্ডেশনে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক স্তরের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা বুঝতে পেরেছি যে বন্দিনীরা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী সন্ন্যাসীর পথ অনুসরণ করে তাদের নিজ ইচ্ছায় ঈশা ফাউন্ডেশনে বসবাস করছে। অতএব, এই পিটিশনে চাওয়া কোনও ত্রাণই মঞ্জুর করা যাবে না... ফলে, এই হেবিয়াস কর্পাস (অবৈধ এবং অনির্দিষ্টকালের বন্দি-অবস্থা থেকে রক্ষা) পিটিশন খারিজ করা হল..."

কিছু প্রণোদিত গোষ্ঠী ঈশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সমাজ ও জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছিল, তাই এই বিষয়টির অবসান ঘটিয়ে সত্যতা তুলে ধরার জন্য ঈশা ফাউন্ডেশন মাদ্রাজ হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানায়।

এই রেকর্ডে আমরা আরও স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে সমস্ত অভিযোগ – বন্দিদের ধরে রাখার, মগজ ধোলাই করার এবং ব্যক্তিদের সন্ন্যাস বা ব্রহ্মচর্যে বাধ্য করার – সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভ্রান্ত।

মানব কল্যাণের সমস্ত দিকের সমাধানের উদ্দেশ্যে ঈশা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী 3 মিলিয়নেরও (30 লক্ষ) বেশি স্বেচ্ছাসেবী তাঁদের নিজস্ব ইচ্ছায় এই প্রচেষ্টার সাথে জড়িত, ফাউন্ডেশন দ্বারা কোনও বলপূর্বক নয়। ঈশা যোগ সেন্টারে প্রায় 1500 ফুল টাইম ভলেন্টিয়ার (প্রায় 200 ব্রহ্মচারী এবং 640 জন বিবাহিত ব্যক্তি সহ) বসবাস করছেন। তাঁরা প্রত্যেকে তাঁদের নিজ ইচ্ছায় এখানে রয়েছেন এবং নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁরা যে কোনও সময় সেন্টার ছেড়ে চলে যেতে পারেন।

একইভাবে, মা মাথি (34) এবং মা মায়ুর (31) এই বিষয়টিতে, তাঁরা এখানে তাঁদের নিজ ইচ্ছায় রয়েছেন এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনওভাবেই তাঁদের এখানে ধরে রাখা হয়নি। ওনারা গত সাত বছর ধরে আশ্রমে বসবাস করছেন। পাঁচ বছর আগে, ওনারা ব্রহ্মচর্যকে আধ্যাত্মিক পথ হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন, এবং সেটা সম্পূর্ণভাবে তাঁদের নিজস্ব ইচ্ছায়।

ব্রহ্মচর্যের পথ (সন্ন্যাস জীবন) হাজার হাজার বছর ধরে ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং বিশ্বের প্রতিটি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যে এটি প্রচলিত আছে, যেমন বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন ইত্যাদি। ঈশাতে ব্রহ্মচর্য অত্যন্ত পবিত্রতার সাথে পালন করা হয় এবং এটি এমন কোনও জিনিস নয় যা সকলের কাছে অবাধে প্রাপ্য। ব্রহ্মচর্যে আবেদনকারীদের আত্মদর্শন এবং স্ব-মূল্যায়নের একটি বিস্তৃত সময় দেওয়া হয় যাতে তাঁরা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারে যে এই পথটি আসলে কেমন এবং সেই ব্যক্তির জন্য এটি উপযুক্ত কিনা। যদিও অনেকে এই পথের জন্য আবেদন করেন তবে তাঁদের অঙ্গীকারবদ্ধতা, সততা এবং একনিষ্ঠতার উপর ভিত্তি করেই কেবল কয়েকজনকে এই পথে গ্রহণ করা হয়। যে কোনও ব্যক্তির উপর ব্রহ্মচর্য আরোপ করার ধারণাটি অকল্পনীয়।

উপরে উল্লিখিত দুই ব্রহ্মচারিণী এই ভিত্তিহীন অভিযোগ সম্পর্কে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছেন:

https://youtu.be/YHUeetpLovY?si=gx1-F3R9mrclpHI7