Questioner:সকলের মঙ্গলের জন্য হিংস্রতার অবসান ঘটাতে আপনি কি উপায় বলবেন ?

Sadhguru: কয়েক বছর আগে যখন আমি ক্যালিফোর্নিয়ায় ছিলাম, আমি একটি গাড়ির পিছনে লাগানো স্টিকার দেখেছিলাম, সেখানে লেখা ছিল, "আমাদের রাজ্যপাল আপনাদের রাজ্যপালকে অপদস্ত করে দিতে পারে। " এটা প্রকৃতই দেখায় আমাদের সংস্কৃতিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজকালকার সিনেমা মানেই একজন অন্যজনকে গুলি করছে। ভিডিও গেমগুলি প্রায় সবই গুলি করার খেলা। আপনি যদি একটি খেলনার দোকানে যান, অর্ধেক খেলনাই বন্দুক। আমরা যুদ্ধ এবং স্মার্ট বোমা, যেগুলো জানালা ভেদ করে কাউকে প্রাণে মারতে পারে, সেগুলোর উচ্চকিত প্রশংসা করি। আজকাল বিশ্বের প্রায় সব কিছুই হিংস্র হয়ে উঠছে। আমাদের সংগীত, আমাদের নাচ, আমাদের সংস্কৃতি, যেভাবে আমাদের জীবনে আমরা চলি এবং কাজকর্ম করি সবই উগ্র হয়ে উঠছে। এটা যদি মাঝে- সাঝে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে, আমাদের আশ্চর্য হওয়ার কথা নয়।  

… কারণ মানুষের ভেতরেই হিংসা রয়েছে। এই অভ্যন্তরীণ হিংসার থেকেই অবহিত হতে হবে।

একজন ব্যক্তি হিসেবে নিজের দিকে তাকান এবং দেখুন, একদিনে কতবার আপনার মনে হয় যে আপনার পাশে থাকা মানুষটিকে আপনি সহ্য করতে পারছেন না? নিজেকে আটকে রাখার চেষ্টা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করতে পারে। কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে এটা ফেটে বেরোতে বাধ্য; কারণ এই হিংস্রতা মানুষের ভেতরেই রয়েছে। এই হিংস্রতারই পরিচর্যা করতে হবে। যদি আমরা মানুষের মধ্যে বিদ্যমান এই আগুন নিভিয়ে না ফেলি, আপনি রাস্তায় জ্বলন্ত আগুন নেভাতে পারবেন না। আজ অথবা কাল সে আগুন আবার জ্বলে উঠবে।

আমাদের বুঝতে হবে যে মানুষ হল অসীম শক্তি এবং বিস্ময়কর ক্ষমতার আধার। যদি সে তার শক্তির যথার্থ অভিব্যক্তি খুঁজে না পায় এবং সেই শক্তিকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং চালিত করতে না পারে, সে অনিবার্য ভাবে হিংসাত্মক কাজকর্ম করবে। হিংস্রতার অর্থ সর্বদা এটা নয় যে আপনি বাইরে যাবেন এবং কাউকে হত্যা করবেন। আপনি রাগান্বিত, আপনি বিরক্ত, আপনি শান্ত হয়ে বসতে পারেন না- এটা হিংস্রতা। যদি আমরা আমাদের অন্তরের গভীর থেকে এটা উপড়ে ফেলতে না পারি, শান্তি আসবে না। যোগ বিজ্ঞান আসলে এটাই : নিজের শক্তিকে লাগাম পরিয়ে সঠিক পথে চালাতে শেখ