সদগুরু ভৌতিক শরীরকে অসচেতনতা থেকে সচেতনতার পথে চালনা করার কথা আলোচনা করেছেন।

সদগুরু আমাদের বলছেন যে কেন আমাদের সমাজের তৈরী করা সাফল্য আর ব্যর্থতার ধারণা দ্বারা চালিত হওয়া উচিত নয়। আমরা যদি জীবনকে এক বৃহত্তর সম্ভাবনার প্রথম ধাপ হিসেবে গড়ে তুলি, তাহলে ব্যর্থতা বলে কিছু থাকে না।

সদগুরু শিবের তৃতীয় নেত্রের প্রতীকতা এবং যখন এই তৃতীয় নেত্র উন্মীলিত হয়, কেমন করে স্পষ্টতা এবং প্রত্যক্ষ উপলব্ধির উন্মেষ ঘটে, সেকথা ব্যাখ্যা করছেন। শিব কিভাবে কামকে ভষ্ম করেছিলেন সে সম্পর্কেও তিনি একটি গল্প বলছেন।

গণপতি তাঁর চতুরতার জন্য বিখ্যাত। গোকর্ণের মহাবলেশ্বর মন্দিরে গণপতির একটি মূর্তি আছে যার মাথায় একটা টোল- রাবণের দৌলতে, যিনি কোন একটি ঘটনাকালে গণপতির বুদ্ধিমত্তার বড় একটা প্রশংসক ছিলেন না। সদগুরু তাদের দুজনের অপ্রত্যাশিত সাক্ষাতের গল্পটি আমাদের বলছেন।

অনিশ্চিত সময়ে প্রয়োজন উদ্ভাবনী সমাধান এবং নতুন ও অপ্রচলিত ভাবনা-চিন্তা করার অভাবনীয় সুযোগ নিয়ে আসে। সদগুরু কিছু উদ্ভাবনমূলক ধারণা জানাচ্ছেন যা দেশকে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সদগুরু একটি কাহিনী বলছেন , কিভাবে সতী নিজেকে যজ্ঞের আগুনে দাহ করেছিলেন যখন তাঁর পিতা শিবকে অপমান করেছিলেন এবং কিভাবে নিরাশ শিব সতীর গলিত দেহটি নিয়ে ঘুরতে থাকেন । সতীর মৃতদেহের টুকরোগুলি অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, যার থেকে জন্ম হয় ৫৪ শক্তি স্থলের।

এই প্রবন্ধে সদগুরু বলছেন কীভাবে আধ্যাত্মিক সাধনা মৃত্যু সম্বন্ধে নয়, বরং তার থেকে মুক্ত হওয়া -যা মৃত্যুর মূল, যেটা হল আসলে জন্ম।

যোগ এর রীতিতে এমন অসংখ্য শিবের-গল্প প্রচলিত রয়েছে যা ন্যায়শাস্ত্রীয় ধারায় অমূল্য জ্ঞান প্রদান করে। এখানে পেশ করা হল সেই রকম চারটি শিবের-গল্প।

সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন, জীবন যখন এটা -ওটা, ভাল মন্দের মধ্যে ভাগ হতে থাকে, তখন একজন কখনই মৌনতা অনুভব করতে পারবে না।

শিব নিশ্চলতা আর উচ্ছলতার এক মাদকীয় মিশ্রণ যা আপনাকে নিয়ে যায় ইন্দ্রিয়ের ঊর্ধ্বে এবং জীবনের পরম সত্তার অনুভব ঘটায়। সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন।

সদগুরু এবং শেখর কাপূর শিবের বাহন নন্দীর তাৎপর্য এবং প্রতীকতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

১৫,০০০ বছর আগে যখন প্রথম যোগী আবির্ভূত হয়েছিলেন, তখন মনুষ্য চেতনা কী অবস্থায় ছিল সদগুরু তাই নিয়ে আলোচনা করলেন।

আষাঢ়ের পূর্ণিমাকে বলা হয় গুরু পূর্ণিমা। গুরু পূর্ণিমা উদযাপন করার কারণ সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন এবং, সর্বপ্রথম গুরু, আদি-যোগীর গল্পটি শোনাচ্ছেন।

শিব কে ? ভারতীয় আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের সবচেয়ে বিশিষ্ট এই চরিত্রটিকে ঘিরে অনেক কাহিনী এবং কিংবদন্তী রয়েছে । তিনি কি একজন দেবতা ? নাকি হিন্দু সংস্কৃতির সমবেত কল্পনা থেকে তৈরি এক পৌরাণিক কাহিনী? নাকি শিবের কোনো গভীর অর্থ আছে, যা প্রকাশ পায় কেবল তাদের কাছে যারা সন্ধান করে ?

দিল্লীর এস আর সি সি কলেজের ছাত্রদের প্রশ্ন ছিল, আদিযোগীর প্রতিমূর্তিটি বিশালাকৃতি করার পিছনে কি কোনও কারণ আছে ? অবয়বের ক্ষুদ্রাকৃতি বা বিশালতা নির্ভর করে যে দেখছে তার বোধ বা অনুভূতির উপর, কিন্তু আদিযোগীর জ্যাতিমিক রূপ-নকশাটি তৈরি হয়েছে জীবনের তিনটি মাত্রাকে প্রতিফলিত করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, সদগুরুর বিশ্লেষণ –