সদগুরু আমাদের বলছেন যে কেন আমাদের সমাজের তৈরী করা সাফল্য আর ব্যর্থতার ধারণা দ্বারা চালিত হওয়া উচিত নয়। আমরা যদি জীবনকে এক বৃহত্তর সম্ভাবনার প্রথম ধাপ হিসেবে গড়ে তুলি, তাহলে ব্যর্থতা বলে কিছু থাকে না।

সদগুরু গাড়ি চালাতে চালাতে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন এবং তিনি একটি জেন গল্পের সারমর্ম বলছেন যেখানে একজন তরুণ সন্ন্যাসী পূর্বনির্ধারিত উত্তর দিয়ে কিভাবে সমস্যায় পড়েছিলেন।

অস্কার জয়ী চিত্র পরিচালক শেখর কাপুর লিঙ্গ-ভৈরবীর প্রকৃতি, যন্ত্র এবং প্রাণ-প্রতিষ্ঠিত স্থানের ব্যাপারে সদগুরুর সাথে আলোচনা করছেন।

কর্মক্ষেত্রে নতুন বসের সাথে মানিয়ে নেওয়া কি একটা যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার হতেই হবে? এধরনের পরিস্থিতিকে সামাল দেবার সেরা উপায় সম্পর্কে সদগুরু তাঁর একটি অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সামনে তুলে ধরছেন।

সদগুরু বলছেন, যন্ত্রের দিক থেকে এই অস্তিত্বের মধ্যে সবচেয়ে অলৌকিক জিনিসটি কম্পিউটার, গাড়ি বা মহাকাশযান নয়, এটি হ'ল মানব মন।

সদগুরু জীবনে সংঘাতের উৎস নির্ণয় করেছেন আর তার আপসহীন প্রতিকারের বিধান দিয়েছেন।

আপনি কোনও সংস্থার নেত্রিত্ববর্গের অংশ হন বা কর্মীবর্গের অংশ, দায়িত্বটা আপনারই আপনার চারপাশের কর্মক্ষেত্রটিকে সুন্দর করে তোলার। সদগুরু কিছু উপদেশ দিচ্ছেন এটা কিভাবে করা যায় সেই বিষয়ে।

সকলেই সাফল্যের আশায় থাকে। কেউ কেউ অনেকের চেয়ে খুব সহজেই সফল হয় বলে যদি মনে হয়, নতুন ভাবে সবকিছুকে দেখার সময় এসে গেছে। সদগুরুর দেওয়া দশটি পরামর্শ সাফল্যের চাবিকাঠি হতে পারে।

অধুনা সুসংবদ্ধ তথ্য সম্প্রচারের যুগে তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে আতঙ্কিত, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল রাজ্যবর্ধন রাঠোর জানতে চাইলেন সদগুরুর কাছে, এই তথ্য বিস্ফোরণের ফলে উদ্ভুত মানসিক চাপ থেকে বাঁচার জন্য যুব সম্প্রদায়ের কী করণীয় –

প্রকৃত সাফল্য লাভের জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং আমাদের মনে সাফল্য সম্পর্কে যে ধারণা আছে, সেটা যে কত সীমিত, তা স্পষ্ট কথায় বিশ্লেষণ করেছেন সদগুরু।