মহাভারতের এই পর্বে, সদগুরু ধর্ম এবং কর্মের মাঝের সম্পর্ককে বিশ্লেষণ করছেন। তিনি বলছেন, একমাত্র ধর্ম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই আপনি আপনার কর্ম করতে পারেন এবং আপনার ঈপ্শিত লক্ষ্যের দিকে নিজের জীবন রচনা করতে পারেন।

সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন রাশিফল আদৌ কাজ করে কিনা এবং গ্রহগুলো আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে কিনা।

এক কলেজ ছাত্রের প্রশ্নের উত্তরে সদগুরু সম্পর্ক ভাঙার পর কি করে এগিয়ে যেতে হয়- তা বলেছেন; বিষয়টিকে যোগের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন এবং একজনের জীবনে বৌদ্ধিক, মানসিক এবং শারীরিক অখণ্ডতা আনার গুরুত্বের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

প্রতিদিন যেভাবে মহিলারা কর্মক্ষেত্রে যোগদান করছেন, মহিলাদের ঘর সামলান উচিত না কর্মক্ষেত্রে যোগদান করা উচিত সেই বিষয়ে সদগুরু তার একটি সংক্ষিপ্ত দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছেন।

সদগুরু আলোচনা করছেন কর্ম কী, এবং এটি কীভাবে মোক্ষ বা চূড়ান্ত মুক্তির সাথে যুক্ত।

সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন যে কিভাবে কর্ম, নিষ্পাদিত কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বরং কাজের পেছনে যে অভিপ্রায় থাকে তার সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা যদি কোনো পরিস্থিতিতে যেমন প্রয়োজন শুধুমাত্র সেভাবে কাজ করি তাহলে কোন কর্ম সৃষ্টি হয় না। পড়তে থাকুন।

সদগুরু শিবের তৃতীয় নেত্রের প্রতীকতা এবং যখন এই তৃতীয় নেত্র উন্মীলিত হয়, কেমন করে স্পষ্টতা এবং প্রত্যক্ষ উপলব্ধির উন্মেষ ঘটে, সেকথা ব্যাখ্যা করছেন। শিব কিভাবে কামকে ভষ্ম করেছিলেন সে সম্পর্কেও তিনি একটি গল্প বলছেন।

আজকাল হপ্তাশেষের ছুটির জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকার যে রেত্তয়াজ চলছে, তার সাথে সদগুরু তাঁর বাবা ভারতীয় রেলের চিকিৎসক হিসেবে নিজের কাজের প্রতি যে নিরন্তর নিষ্ঠা দেখিয়েছলেন তার তুলনা করছেন।

আপনি কোনও সংস্থার নেত্রিত্ববর্গের অংশ হন বা কর্মীবর্গের অংশ, দায়িত্বটা আপনারই আপনার চারপাশের কর্মক্ষেত্রটিকে সুন্দর করে তোলার। সদগুরু কিছু উপদেশ দিচ্ছেন এটা কিভাবে করা যায় সেই বিষয়ে।

সদগুরু কর্ম যোগ প্রক্রিয়ার গুরুত্ব, আধ্যাত্মিক পথে এর ভূমিকা এবং কীভাবে একজন সাধক কর্মকে আধ্যাত্মিক বিকাশের উপায় হিসাবে ব্যবহার করে চলতে পারেন সে ব্যাপারে আলোচনা করছেন।

সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন যে যোগের উদ্দেশ্য হল যা "আপনি নন" তার জন্য একটা জায়গা তৈরি করা, এবং এইসঙ্গে অবধূতদের বিষয়েও বিশদে বলছেন।

মানুষের জীবনে কি একটিমাত্র সম্পর্ক থাকা উচিত এবং একটি আন্তরিক ও একনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকাই কি শ্রেয়- এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সদগুরু।

সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন যে আজকাল উৎকণ্ঠা, নিরাপত্তাহীনতা এবং অবসাদের বাড়ন্ত মাত্রা আমরা যে সর্বত্র দেখতে পাই, তার অন্যতম কারণ হল আমাদের শরীর বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে।

এক অন্বেষী সদগুরুকে প্রশ্ন করেন, কর্মফল যখন নানাভাবে, ক্রমাগত রেকর্ড হয়ে চলেছে, তবে কি এটা মানুষকে কষ্টের মধ্যে রাখার একটা বিস্তৃত ফাঁদ নয়? সদ্গুরু ব্যাখ্যা করলেন, যখন কেউ কোনো বাধ্যবাধকতা থেকে নয়, বরং স্বেচ্ছায় জীবনযাপন করেন, তখন কর্মফল আপনার যাই হোক না কেন, জীবনটা আপনি কিভাবে চালনা করবেন, তা ১০০% আপনারই হাতে।