একজন নারি কি একজন গুরু হতে পারে? গুরুর লিঙ্গ কি কোনো গুরত্ব রাখে? "নারী ও আধ্যাত্মিকতা" সিরিজ এর ৫ নং পর্বে সদ্গুরু এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছেন।

সদগুরু:

সাধারন ভাবে, একজন নারীর নারীত্ব তাকে একজন কার্যকর গুরু হওয়ার অনুমতি দেয় না। কিন্তু সে আধ্যাত্মিক পথ অনুসরণ করার জন্য খুব উপযুক্ত। পুরুষের কর্মক্ষমতা বেশী, কিন্তু তার ধারণক্ষমতা কম। সে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে, কিন্তু একজন মহিলা সেই স্বাভাবিক গুণের সাথেই আসেন। তাই যেখানেই কোনও গুরু থাকেন, অনেক বেশি মহিলা জড়ো হয়ে যান সেখানে, কারণ তারা গ্রহণ করার জন্য বেশী উপযুক্ত। বেশ কিছু চমৎকার গুরু হয়েছেন যাঁরা মহিলা, কিন্তু তারা একেবারে ভিন্ন ধরনের ছিলেন। তারা সে ভাবে কাজ করতে পারেন না যে ভাবে একজন পুরুষ করেন। তাদের সমাজে এক নির্দিষ্ট ধরনের পরিস্থিতি, একটি নির্দিষ্ট ধরনের অবলম্বন পদ্ধতি খুঁজে বের করতে হবে। সমাজ কখনোই একজন নারীকে একজন গুরু রূপে সমর্থন করেনা। বিশেষত পশ্চিমে, যখনি একজন নারী নিজের আত্মজ্ঞান ব্যাক্ত করা শুরু করেন, যখনি একজন মহিলা এমন কিছুতে পৌঁছতে শুরু করে যা সাধারণ মানুষের কাছে নেই, তখন তাকে ডাইনি তকমা দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়।

যাইহোক, কিছু নারী এমন আছেন যাদের ভেতর পুরুষের তুলনায় বেশি পুরুষালির আগুন রয়েছে। এই ধরনের নারীরা ভীষণ ভালো গুরু হতে পারেন, যদি সেখানে সামাজিক সহায়তা থাকে। এই ধরনের মানুষ ছিলেন, কিন্তু বহু শতাব্দীর মানব ইতিহাসে, তাদের কখনোই এই ধরনের সমর্থন ছিল না। সম্ভবত ভবিষ্যতে, এটা সম্ভব হতে পারে। বহু নারী আধ্যাত্মিক গুরু হতে পারেন।