বলা হয় যে অগস্ত্যমুনি ৬০০০ এরও বেশি বছর আগে নটদৃশ্যরার মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন। কেমন করে অগস্ত্য মুনি তাঁর প্রাণশক্তি এবং সূক্ষ্ম শরীর এখানে ছেড়ে যান তা সদগুরু ব্যক্ত করছেন।

যোগ এর রীতিতে এমন অসংখ্য শিবের-গল্প প্রচলিত রয়েছে যা ন্যায়শাস্ত্রীয় ধারায় অমূল্য জ্ঞান প্রদান করে। এখানে পেশ করা হল সেই রকম চারটি শিবের-গল্প।

আজকাল পৃথিবী জুড়ে যোগের প্রচুর চল হয়েছে যার সাথে প্রকৃত যোগের কোনও সম্পর্ক নেই। এই সুপ্রাচীন পদ্ধতিটি সম্পর্কে অনেক ভুল ধারনা দীর্ঘদিন ধরে সত্যের বেশে প্রচারিত হচ্ছে। সদগুরু নিজে সে সম্পর্কে যে ব্যখ্যা দিয়েছেন তার মাধ্যমে এবার যোগের প্রকৃত সত্য উন্মোচোনের সময় এসেছে।

শিব কে ? ভারতীয় আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের সবচেয়ে বিশিষ্ট এই চরিত্রটিকে ঘিরে অনেক কাহিনী এবং কিংবদন্তী রয়েছে । তিনি কি একজন দেবতা ? নাকি হিন্দু সংস্কৃতির সমবেত কল্পনা থেকে তৈরি এক পৌরাণিক কাহিনী? নাকি শিবের কোনো গভীর অর্থ আছে, যা প্রকাশ পায় কেবল তাদের কাছে যারা সন্ধান করে ?

১৯৯৫ সালে ব্রহ্মচর্যে দীক্ষিত হন এবং ২০০৩ সালে সন্ন্যাসে, মা চন্দ্রহাসা একদম শুরু থেকে ঈশার সঙ্গে আছেন। এখানে তিনি আমাদের সাথে কিছু অকপট মুহূর্ত ও কিছু গভীর রূপান্তরমূলক ঘটনা ভাগ করছেন যা তাঁর আধ্যাত্মিক যাত্রাকে রূপায়িত করেছিল।

সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন, জীবন যখন এটা -ওটা, ভাল মন্দের মধ্যে ভাগ হতে থাকে, তখন একজন কখনই মৌনতা অনুভব করতে পারবে না।

১৫,০০০ বছর আগে যখন প্রথম যোগী আবির্ভূত হয়েছিলেন, তখন মনুষ্য চেতনা কী অবস্থায় ছিল সদগুরু তাই নিয়ে আলোচনা করলেন।

দিল্লীর এস আর সি সি কলেজের ছাত্রদের প্রশ্ন ছিল, আদিযোগীর প্রতিমূর্তিটি বিশালাকৃতি করার পিছনে কি কোনও কারণ আছে ? অবয়বের ক্ষুদ্রাকৃতি বা বিশালতা নির্ভর করে যে দেখছে তার বোধ বা অনুভূতির উপর, কিন্তু আদিযোগীর জ্যাতিমিক রূপ-নকশাটি তৈরি হয়েছে জীবনের তিনটি মাত্রাকে প্রতিফলিত করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, সদগুরুর বিশ্লেষণ –

সদগুরু একটি কাহিনী বলছেন , কিভাবে সতী নিজেকে যজ্ঞের আগুনে দাহ করেছিলেন যখন তাঁর পিতা শিবকে অপমান করেছিলেন এবং কিভাবে নিরাশ শিব সতীর গলিত দেহটি নিয়ে ঘুরতে থাকেন । সতীর মৃতদেহের টুকরোগুলি অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, যার থেকে জন্ম হয় ৫৪ শক্তি স্থলের।

শিব নিশ্চলতা আর উচ্ছলতার এক মাদকীয় মিশ্রণ যা আপনাকে নিয়ে যায় ইন্দ্রিয়ের ঊর্ধ্বে এবং জীবনের পরম সত্তার অনুভব ঘটায়। সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন।

আষাঢ়ের পূর্ণিমাকে বলা হয় গুরু পূর্ণিমা। গুরু পূর্ণিমা উদযাপন করার কারণ সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন এবং, সর্বপ্রথম গুরু, আদি-যোগীর গল্পটি শোনাচ্ছেন।