সমাধি শব্দটি এসেছে "সম" এবং "ধী" এই দুটি শব্দ থেকে। "সম" মানে মনের সমতা আর "ধী" মানে বুদ্ধি বা বুদ্ধিমত্তা। সদগুরু সমাধির তাৎপর্য, বিভিন্ন ধরণের সমাধি এবং মহাসমাধি অবস্থার বিষয়ে বিস্তরে বলছেন।

মৃত্যুর মুহূর্তের সচেতনতাকে বেদনানাশক ওষুধ কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে সে সম্পর্কে একটি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সদগুরু।

সদগুরু বলেন, যদি আপনি প্রতিনিয়ত মনে রাখেন যে আপনি মরনশীল, এই পৃথিবীর বুকে আপনি নম্রভাবে এবং সংবেদনশীল হয়ে হাঁটবেন।

মৃত্যুর কি কোন বিকল্প আছে? আমরা কীভাবে এবং কখন মারা যাব তা কি আমাদের হাতে রয়েছে? সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন ভৌতিক শরীরকে সচেতনভাবে ত্যাগ করার উপায় , এবং সেইদিকে প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে আমাদের একটা প্রক্রিয়ার সন্ধান দিচ্ছেন।

সাম্প্রতিক বক্তৃতায়, সদগুরু নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা মনে করিয়ে দিয়ে -জীবনের একমাত্র নিশ্চয়তা- মৃত্যুর সঙ্গে আরও অন্তরঙ্গ হতে হবে। আমরা মৃত্যুকে একটি ভয়ঙ্কর ব্যাপার হিসেবে দেখতে অভ্যস্ত, এভাবেই আমরা বড় হয়েছি, কিন্তু সদগুরু ব্যাখ্যা করছেন যে নিঃশ্বাস - প্রশ্বাসের মত আমাদের জীবন ও মৃত্যু, উভয়কেই আলিঙ্গন করা উচিত। কিভাবে সঠিক পথ বেছে নেওয়া যায় এবং কিভাবে নিজের অস্তিত্বকে অতি উজ্জ্বল করে তোলা যায় -সেই ব্যাপারে তিনি পথ দেখিয়েছেন। "জীবন্ত মৃত্যুর" প্রতিমূর্তি হতে পারলে এই গ্রহে যতখানি সময় আপনি কাটাবেন, তা একটি ভিন্ন সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে।

হতাশা এবং মানসিক পরিস্থিতি মানুষকে আত্মহত্যার চূড়ান্ত পদক্ষেপের দিকে নিয়ে যেতে পারে। সদগুরু আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান করছেন এবং ব্যাখ্যা করছেন যে কীভাবে যোগ কোন ব্যক্তিকে তার নিজস্ব প্রকৃতিতেই সুখী থাকতে সাহায্য করে, বাইরের পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন।

এই প্রবন্ধে সদগুরু বলছেন কীভাবে আধ্যাত্মিক সাধনা মৃত্যু সম্বন্ধে নয়, বরং তার থেকে মুক্ত হওয়া -যা মৃত্যুর মূল, যেটা হল আসলে জন্ম।

মহাদেব শিব কে সবথেকে শক্তিশালী ভগবান হিসেবে হিন্দু ধর্মে মানা হয়। কিন্তু এরকম বহু গল্প রয়েছে যাতে আমরা শিবের কাম ভাবনার কথা শুনেছি। এত বড় যোগী হওয়া সত্ত্বেও শিব কি কাম ভাবনার ঊর্ধ্বে ছিলেন না? শিব কি কোনদিন তার কাম ভাবনা জয় করতে পেরেছিলেন? দেখুন সদগুরু কি বলছেন এই প্রসঙ্গে।

ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। একটি মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার শরীরকে ব্যবহার করার থেকে নিকৃষ্ট কর্ম হতে পারে না। হায়দ্রাবাদে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পরে সারা ভারত জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কিন্তু অপরাধ যতই গুরুতর হোক না কেন বিনা বিচারে অপরাধী কে গুলি করে হত্যা করা কি ঠিক? দেখুন সদগুরু কি বলছেন এই প্রসঙ্গে।

কোন সদ্য মৃতের দেহে জীবন প্রক্রিয়াকে কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় এবং কিভাবে তান্ত্রিকেরা সূর্য স্পর্শ নামের এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করেন, সেই বিষয়ে আলোচনা করছেন সদগুরু।

মৃত্যু অনিবার্য, কিন্তু খুব স্বল্প সংখ্যক লোকের ভাগ্যেই শোভনীয় মৃত্যু জোটে। সদগুরু বলছেন কিভাবে একজন মরণাপন্ন ব্যক্তির শোভন মৃত্যু নিশ্চিত করা যায় এবং মৃত্যুর রুক্ষতাকে এড়ানো যায়।

দেহান্তর কি সম্ভব? এখানে সদগুরু একটি ঘটনার কথা বলছেন, যেখানে আদি শংকরাচার্য একবার তর্কে জেতার জন্য অন্য একজনের শরীরে প্রবেশ করেছিলেন।

মানুষ কিভাবে গড়ে ওঠে, বা মানুষ-তন্ত্রের গঠনের যান্ত্রিক প্রযুক্তিটা কি, সদগুরু এর দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন । উনি বোঝাচ্ছেন, যে পার্থিব শরীরের চলে যাওয়ার পর কি হয় ।

লেখক অমিশ ত্রিপাঠী সদগুরুর কাছে জানতে চেয়েছেন যে, একান্ত ভালবাসার মানুষকে হারানোর দুঃখ তিনি কেমন করে সামলাবেন!